ঝালদায় নতুন বির্তক। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
পুরশহরের উন্নয়ন থমকে— ঝালদাবাসীর একাংশের এমনই দাবি। কিন্তু, ঝালদা পুরসভার অন্দরে থেমে নেই বিতর্ক। নিত্য নতুন বির্তকের জন্ম হচ্ছে ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এই ছোট্ট পুরশহরে। সোমবার সেই তালিকায় সংযুক্ত হল— পুরপ্রধানের চেম্বারে তালা দেওয়ার ঘটনা।
ঝালদায় পুরপ্রধানের কুর্সিতে কে বসবেন, সেই প্রশ্ন ঝুলে রয়েছে আদালতে। এই প্রশ্নের নিষ্পত্তির আগেই তালা ঝুলল খোদ পুরপ্রধানের চেম্বারে। সোমবার পুরপ্রধানের চেম্বারের দরজায় কেউ বা কারা তালা ঝুলিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে পুরপ্রধান উপপুরপ্রধানের শূন্য চেয়ারে বসেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী দলের বিক্ষুদ্ধ ও বিরোধী কাউন্সিলরেরাও পুরসভায় ছিলেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো ‘তলবি সভা’ করে নতুন পুরপ্রধানও ‘নির্বাচন’ করেছেন বলে প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুর নাগাদ। সুরেশবাবু পুরসভায় এসে দেখেন, তাঁর চেম্বারের দরজায় তালা ঝুলছে। কর্মীরা কেউ তাঁকে দেখেও তালা খুলতে না আসেননি বলে অভিযোগ। তিনি উপপুরপ্রধানের চেম্বারে গিয়ে বসেন।
পুরপ্রধানের দাবি, ‘‘খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এ দিন সকালে আমার চেম্বার খোলা হলেও বেলার দিকে কেউ বা কারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। চাবিরও খোঁজ পাইনি।’’ তাঁর অনুগামীদের অভিযোগ, পুরপ্রধানের বিরোধী শিবিরই তালা ঝুলিয়েছেন। সুরেশবাবু বলেন, ‘‘আমি এই মর্মে অফিস থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। দেখি কী রিপোর্ট পাই। তারপর বলব। না খোলা হলে আইনের দ্বারস্থ হব।’’
পুরনো দিনের তারিখে কাগজপত্রে সই করেছেন বলে রবিবারই সুরেশবাবুর বিরুদ্ধে ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিরোধী পক্ষ। সেই ন’জন কাউন্সিলরের সিংহভাগই পুরসভার অন্য একটি ঘরে এ দিন বসেছিলেন। তাঁদের তরফে তৃণমূলের প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘আমরাও শুনেছি কেউ বা কারা পুরপ্রধানের ঘরে তালা ঝুলিয়েছে। কে ঝুলিয়েছে বলতে পারব না। তবে আমরা তালা দিইনি। পুরপ্রধানই বরং কিছু দিন আগে পুরসভার গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। গোটা ঝালদা তা জানে।’’ কংগ্রেস কাউন্সিলর মহেন্দ্রকুমার রুংটা বলেন, ‘‘কে যে তালা ঝোলাল, কে জানে!’’