বন্ধুর: রাস্তার গর্তে জমেছে জল। ভাঁড়কাটায়। ছবি: পাপাই বাগদি
বৃহস্পতিবার মহম্মদবাজারের ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের এক স্বনির্ভর দলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। অনুষ্ঠান শেষে খোদ জেলাশাসককে হাতের কাছে পেয়ে রাস্তার সমস্যার কথা জানালেন এলাকাবাসী। কাপাসডাঙা থেকে ভাঁড়কাটা যাওয়ার রাস্তা পাকা করার জন্য লিখিত ভাবে আবেদন করেন। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বিডিও আশিস মণ্ডলকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। তার পরে বিডিও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। পুজোর আগে আপাতত রাস্তায় জল নিকাশি ব্যবস্থা করে দেওয়ার এবং পুজোর পরে ঢালাই রাস্তা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন আশিসবাবু।
গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ নন্দী ও সোমনাথ গড়াইদের অভিযোগ, ‘‘গ্রামের ভিতরে রাস্তার এমন অবস্থা যে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হয় না। রাস্তার মধ্যে কিছু দূর অন্তর এক হাঁটু করে জল দাঁড়িয়ে থাকে। দু’দিকেই বাড়ি হয়ে যাওয়ার জন্য জল বেরোনোর কোনও রাস্তা নেই।’’ এখনও জলের উপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। ছেলেমেয়েদের যেতে হচ্ছে স্কুলে। হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তাও এটাই। ছোটখাট বিপদও হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা স্কুল যাওয়ার পথে পড়ে যাচ্ছে জলের মধ্যেই। তখন সে দিনের মতো কামাই হচ্ছে স্কুল। পা-পিছলে পড়ে গিয়েছেন অনেক বয়স্ক মানুষও।
ভুক্তভোগীরা জানালেন, এই বিষয়ে পঞ্চায়েতকে জানালে একটুখানি ডাস্ট ফেলে রাস্তা উঁচু করে দেওয়া হচ্ছে। তার উপর দিয়ে ওভারলোড পাথরের গাড়ি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গাটা আবার গর্ত হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি উঠেছে। এ দিন স্বনির্ভর দলের অনুষ্ঠানে জেলাশাসক আসছেন, এই খবর পেয়ে দুর্ভোগের কথা জানাতে তাঁর কাছে পৌঁছে যান গ্রামের বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে বিডিও আশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘আমি বলেছি খুব শীঘ্রই রাস্তায় জমে থাকা জল বের করার ব্যবস্থা করা হবে। তার উপরে আপাতত ডাস্ট ফেলে এই মুহূর্তে চলাচলের মতো করে দেওয়া হবে। পুজো পেরিয়ে গেলে ব্লকের পক্ষ থেকে পাকা রাস্তা করার ব্যবস্থা করব।’’