Jharkhand Forest

পুরুলিয়া ঘেঁষা ঝাড়খণ্ডে ফের বাঘের ভয়, মিলল পায়ের ছাপ, পরিস্থিতির দিকে নজর বন দফতরের

ঝাড়খণ্ডের চান্ডিল এলাকায় বাঘের ভয় দেখা দিতেই লোকমুখে তা ছড়িয়ে পড়েছে পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি, বলরামপুর এলাকায়। চান্ডিল এলাকাটি পুরুলিয়া জেলা লাগোয়া হওয়ায় সতর্ক বন দফতরও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৫
Share:

ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে বাঘের ভয়! সতর্ক পার্শ্ববর্তী পুরুলিয়া। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রাজ্যের তিন জেলা দাপিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই ওড়িশার সিমলিপালে নিজের আস্তানায় ফিরেছে বাঘিনি জ়িনত। তার মধ্যেই নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ড সীমানায়।

Advertisement

কয়েক দিন আগে একটি নিখোঁজ বাছুরের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঝাড়খণ্ডের চান্ডিলের তুলগ্রাম বালিডিহির জঙ্গলে। বাছুরের গলায় গভীর ক্ষত ও গায়ে আঁচড়ের দাগ দেখে স্থানীয়রা নিশ্চিত যে, বাঘ ঢুকে পড়েছে এলাকায়। এলাকায় হিংস্র প্রাণীর একাধিক পায়ের ছাপও মেলে। তবে তাকে কেউ চোখে দেখেনি। বিষয়টি লোকমুখে শোনার পরই জন্তুটিকে চিহ্নিত করতে তৎপর হয় ঝাড়খণ্ড বন দফতর। তাই জন্তুটি আসলে বাঘ না কি চিতাবাঘ, তা জানতে জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসাচ্ছে ঝাড়খণ্ড বন দফতর। এলাকাটি পুরুলিয়া জেলার সীমানা থেকে মাত্র ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে শুরু করেছে পুরুলিয়ার বন দফতরও।

ঝাড়খণ্ডের চান্ডিল এলাকায় বাঘের আতঙ্ক দেখা দিতেই লোকমুখে তা ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি ও বলরামপুর ব্লক এলাকায়। ঝাড়খণ্ডের চান্ডিল এলাকাটি পুরুলিয়া জেলা লাগোয়া হওয়ায় সতর্ক রয়েছে পুরুলিয়ার বন দফতরও। এই প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার বিভাগীয় বন আধিকারিক (ডিএফও) অঞ্জন গুহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডের তরফে এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য মেলেনি। বিষয়টি শুনে আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। সতর্ক রয়েছেন সীমানা এলাকার বনকর্মী এবং আধিকারিকেরাও।”

Advertisement

সম্প্রতি ওড়িশার সিমলিপাল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনি জ়িনতকে নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল এ রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলায়। তিন জেলা দাপিয়ে বেড়ানোর পর বাঁকুড়ায় বন দফতর ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘিনি জ়িনতকে খাঁচাবন্দি করে। কয়েক দিন আলিপুরের পশু হাসপাতালে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখে নিয়ে যাওয়া হয় সিমলিপালে। নতুন বছরের প্রথম দিনের সকালেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় জঙ্গলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement