কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিষ্টি খাচ্ছেন ভিবিইউএফএ-এর সুদীপ্ত ভট্টাচার্য (ডান দিকে) ও মানস মাইতি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র abpbabubiswajit@gmail.com
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠির ভাষা ‘অশালীন’ ও ‘কুরুচিসম্পন্ন’ দাবি করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, ওই চিঠি ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে’ লেখা হয়েছে।
প্রসঙ্গ, উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বুধবার। ঠিক তার আগের দিন, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন উপাচার্য। সেই চিঠিতে প্রশাসনিক বক্তব্য ছিল না। বরং মুখ্যমন্ত্রীকে নানা ভাবে ‘বিদ্রূপ’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কটাক্ষের সঙ্গে লেখা হয়েছে, আপনার রবীন্দ্রপ্রীতি দেখে বিশ্বের আপামর সাহিত্য অনুরাগীর মতো আমিও মুগ্ধ, অবাক হই। আমার জানা নেই, কেউ আপনার মত এত গুনসম্পন্না আছেন কিনা! আপনার সাহিত্য খুব সহজেই কেন স্বীকৃতি পায়, তা সহজেই বোধগম্য।” মুখ্যমন্ত্রীর ছবি আঁকা নিয়েও উপাচার্য লেখেন, ‘আপনার অঙ্কন প্রতিভা আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের কাছে অবাক হওয়ার জন্য যথেষ্ট’।
সেই চিঠি সামনে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়েন উপাচার্য। মঙ্গলবার রাতেই তাঁর নামে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। তাতে তিনি দাবি করেছে, উপাচার্য বিশ্বভারতীর প্যাডে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিসম্পন্ন, অপমানজনক ও শ্লেষাত্মক মন্তব্য করেছেন। যা প্ররোচনামূলক। এতে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ ও রাগান্বিত। অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে, তাতে বিষয়টি যে কোনও সময় অশান্তির কারণ হতে পারে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন প্রলয় নায়েক।
এ দিন প্রলয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অথচ বারবার তাঁকে যে-ভাবে চিঠি দিয়ে কু-মন্তব্য করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত লজ্জার। তাই অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হলাম। আশা করি, পুলিশ-প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” এই নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি।