একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ্মী পুজো হয়ে আসছে বীরভূমের হেতমপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। আজও সোনার অলঙ্কারে সাজানো হয় লক্ষ্মী প্রতিমা। বীরভূম জুড়ে যে কয়েকটি শতাব্দীপ্রাচীন লক্ষ্মী পুজো রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দুবরাজপুরের হেতমপুরের এই পুজো। আজও তা উজ্জ্বল স্বমহিমায়।
শতাধিক বছর আগে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন কৃষ্ণচরণ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজার প্রচলন ছিল না। পরবর্তী পর্যায়ে পাকাপাকি ভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় মন্দির। তার পর থেকে কয়েক পুরুষ ধরে মহাসমারোহে চলে আসছে এই পুজো। বিজয়া দশমীর পর এই পুজো চট্টোপাধ্যায় পরিবারের কাছে মিলনোৎসব। সারা বছর ধরেই এই পুজোর জন্য অপেক্ষায় থাকেন পরিবার সদস্যরা।
পুজোতে শামিল হন গ্রামবাসীরাও। পুজো এখানে দু’দিনের। তৃতীয় দিন হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। লক্ষ্মী প্রতিমার নামে বেশ কিছু সম্পত্তিও রয়েছে। রয়েছে পুকুরও। বিসর্জনের পর সেই পুকুর থেকে মাছ ধরা হয়। দুপুরে তা খেয়ে পরিবারের সদস্যরা রওনা দেন গন্তব্যে। এই পরিবারের লক্ষ্মী প্রতিমা সজ্জিত স্বর্ণালঙ্কারে। এ ছাড়াও জয়া-বিজয়া, ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের পুজোও হয়। বাদ্যযন্ত্র সহকারে গ্রাম ঘুরিয়ে হয় প্রতিমা নিরঞ্জন।