তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদে (টিআরডিএ) এ বার স্থান পাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর স্মৃতি বিজড়িত কিছু এলাকা। রামপুরহাট ১ ব্লকের অধীন কুশুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ওই সমস্ত এলাকাগুলি পড়ছে।
কুশুম্বা পঞ্চায়েতের মধ্যে থাকা কুশুম্বা, চাকাইপুর, রামরামপুর, সুন্দিপুর, আখিড়া, ছিটাসপুর, বুঙ্কেশ্বরীতলা— মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই সমস্ত এলাকাগুলিকে টিআরডিএ-এর মধ্যে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর মৌখিক সম্মতি মিলেছে বলে জানিয়েছেন আশিসবাবু। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন। চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘কুশুম্বা পঞ্চায়েতের মধ্যে বুঙ্কেশ্বরীতলা পড়ে। ওই এলাকার উন্নতির সাধনে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ১০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেন।’’
মুখ্যমন্ত্রীর নানা কথায়, বক্তৃতায় প্রায়ই উঠে আসে ছোটখাট ঘটনার কথা। নিজের লেখা প্রবন্ধে, গল্পেও স্থান পেয়েছে ওই সমস্ত এলাকার নাম। কুশুম্বা গ্রামেই মুখ্যমন্ত্রী জন্মভিটে। জন্ম মুহূর্তের সাক্ষী টিনের চালাঘরটিও বর্তমান। মামা অনিল মুখোপাধ্যায়, মামিমা তাপসী মুখোপাধ্যায়ের কাছে মুখ্যমন্ত্রী এখনও স্নেহের পাত্রী। মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় কুশুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, বৌমা পম্পা রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বৃহস্পতিবার বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে পঞ্চায়েত সমিতির কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনার সময়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে মৃদু বকুনি খেতে হয়েছে বৌমাকে।
এ দিকে, কুশুম্বা পঞ্চায়েতের কিছু অংশ তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদে অর্ন্তভুক্তির ফলে এলাকা বাড়ল। ইতিমধ্যে রামপুরহাট ২ ব্লকের খরুণ পঞ্চায়েত এবং রামপুরহাট ২ ব্লকের সাহাপুর পঞ্চায়েত— এই দুই এলাকা পর্ষদের মধ্যে এসেছে। আবার রামপুরহাট ১ ব্লকের বরশাল পঞ্চায়েতের কিছু অংশ এবং রামপুরহাট ২ ব্লকের বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু অংশও টিআরডিএ-এর মধ্যে। ঢুকতে চলেছে কুশুম্বাও। এই পরিস্থিতিতে পর্ষদের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ‘‘এত বড় এলাকা নিয়ে উন্নয়নের কাজ করা যাবে তো!’’ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, সব কাজই সময়ে হবে।