পড়শিকে খুনের দায়ে পাঁচ ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল বোলপুরের আদালত। আজ সোমবার পাঁচ পড়শির সাজা ঘোষণা করবেন বোলপুরের সহকারি জেলা ও দায়েরা আদালতের বিচারক অরুণ কুমার রাই।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী শ্যামসুন্দর কোনার জানান, ২০১২ সালের ৬ এপ্রিল লাভপুর থানার হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক শেখ শাহাজাহান (৬০)কে বাড়ি থেকে টেনে বের করে মারধর করে প্রতিবেশী শেখ বসির। শেখ শাহজাহানের উপর লাঠি, রড দিয়ে চড়াও হয় শেখ বসিরের সঙ্গী শেখ জিয়ার, শেখ জাকীর, শেখ সামসুল ও শেখ বক্তার।
পাঁচ প্রতিবেশীর মারে গুরুতর জখম শেখ শাহজাহানকে সংকটজনক অবস্থায়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনায়, নিহতের ছেলে শেখ আনারুল ঘটনার পরের দিন ২০১২ সালের ৭ এপ্রিল লাভপুর থানায় পাঁচ পড়শির বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের লিখিত অভিযোগ জানান। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অনিচ্ছাকৃত খুন এবং ৩৪ একই উদ্দেশ্যের অভিযোগে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে, ওই রাতেই গ্রেফতার হয় এক অভিযুক্ত শেখ সামসুল।
ওই বছর ১৭ জুলাই শেখ জিয়ার, শেখ জাকীর-সহ বাকি অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হয়। পড়ে তারা জামিনে ছাড়া পায়। ২০১৪ সালের ৫ জুলাই বোলপুরের সহকারি জেলা ও দায়েরা আদালতের বিচারক অরুণ কুমার রাই-এর আদালতে চার্জ গঠন হয়। অভিযুক্ত পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ এবং ৩৪ ধারায় চার্জ গঠন হয়। শ্যামসুন্দরবাবু বলেন, “২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছর ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালতে সাক্ষ্যগ্রহন ছিল।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দেবাশিস মাইতি, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার বাহাদুর মণ্ডল, খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের ছেলে শেখ আনারুল এবং স্ত্রী মাহমুদা বিবি সহ মোট ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।
পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীত ভাবে দোষ প্রমাণিত হয়েছে। শনিবার বোলপুরের সহকারী জেলা ও দায়েরা আদালতের বিচারক অরুণ কুমার রাই পড়শিকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আজ সোমবার বিচারক পাঁচ দোষীর সাজা ঘোষণা করবেন।