নানুরে একটি কর্মসূচিতে কাজল শেখ। — নিজস্ব চিত্র।
জেলে বসে দল পরিচালনা করছেন অনুব্রত মণ্ডল। ওঁর সঙ্গে হয়তো ফোনে কথা হচ্ছে বীরভূমের জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর। শনিবার জেলা কমিটির বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন বিকাশ নিজে। রবিবার এমন মন্তব্যই করলেন নানুরের তৃণমূল নেতা তথা দলের বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সম্প্রতি বীরভূমে কোর কমিটি তৈরি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির বৈঠক না হওয়া নিয়ে ‘অনুযোগ’ রয়েছে কাজলের। নানুরের ওই তৃণমূল নেতার দাবি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিকাশ।
রবিবার নানুরের উচকরণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দর বাসস্ট্যান্ডে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন কাজল। সেখানে শনিবারের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘গত কাল বিকাশ রায়চৌধুরী বলেছেন, উনি কেষ্ট’দার পরামর্শ মতো চলছেন। হয়তো বিকাশ’দার সঙ্গে কেষ্ট’দার জেল থেকে ফোনে কথাবার্তা হচ্ছে। সেই জন্য বিকাশ’দা বলতে পারছেন— এটা জেলা সভাধিপতির কথা। তাঁর ফোন চেক করলে বোঝা যাবে।’’
কাজলের মন্তব্য দলে বিভ্রান্তি তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিকাশ। তৃণমূলের বীরভূম জেলার কোর কমিটিতেও আছেন বিকাশ। তাঁর কথায়, ‘‘কেষ্ট যে ভাবে দল চালাত, আমরাও সেই ভাবেই চালাচ্ছি। উনি কেন বিতর্ক তৈরি করছেন জানি না। দলে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন। তিনি জেলে আছেন তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এই দাবিটা মিথ্যে।’’
শনিবার বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে ছিলেন কাজল। কিন্তু বৈঠক শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। এ নিয়ে কাজলের সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘আমার ব্যক্তিগত কাজ ছিল।’’
রবিবার যে মেজাজে কাজলকে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল সূত্রে দাবি, শনিবার জেলা কমিটির বৈঠকেও তেমনই ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। বীরভূমের জোড়াফুল শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারের বৈঠকে কাজল অভিযোগ করেন, কোর কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশিই, কমিটি গঠনের বেশ কয়েক দিন পরেও কেন বৈঠক ডাকা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কাজল। এমনটাই দাবি ওই সূত্রের।