জয়দেব মেলার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বার অল্প সংখ্যক দোকানপাট ও আখড়া নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল জয়দেব কেঁদুলির মেলা। তবে এ বার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতেই অন্য বারের মতো মেলার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জয়দেব কেঁদুলির মেলা নিয়ে চলতি মাসে একটি বৈঠকে বসেছিলেন জেলার শীর্ষ কর্তারা। সেখানে মেলা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। এরপর শনিবার বিকালে জয়দেব কেঁদুলির গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাকক্ষে একটি বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন, আশ্রম কমিটি। ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। এ দিনের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) সুরজিৎকুমার দে, মহকুমাশাসক (বোলপুর) অয়ন নাথ, এসডিপিও বোলপুর নিখিল আগরওয়াল, কাঁকসা থানার আইসি, বিডিও, আশ্রম কমিটির সদস্যরা।
দীর্ঘক্ষণ আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় বিগত বছরগুলিতে যেভাবে পূণ্যস্নান হয়ে এসেছে সেভাবেই স্নান হবে। এর পাশাপাশি বিগত দিনগুলিতে যেমন মেলা বসত, সে ভাবে মেলাও হবে। ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। পুণ্যস্নান ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম রাখা থেকে শুরু করে স্নানের ঘাট ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা-সহ একাধিক ব্যবস্থা রাখা হবে।
রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল জয়দেব কেঁদুলির মেলা। প্রতি বছর মেলা দেখতে ও মকরস্নান করতে দূর দূরান্ত থেকে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। গত দু'বছর করোনা সংক্রমণের কারণে ছিল একাধিক বিধি নিষেধ। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকায় আগের মতোই দোকানপাট, স্থায়ী ও অস্থায়ী আখড়া বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ বছর মেলায় যা খরচ হবে তা মেলার কদিন বসা বিভিন্ন স্টল ও পার্কিং থেকে পাওয়া আয় থেকে মেটানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মেলায় প্রতি বছর ২৫০- ৩০০ আখড়া বসে। কিন্তু সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর তাতে ছেদ পড়তে দেখা গিয়েছে। এ বছর অবশ্য সমস্ত আখড়া বসার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তবে আখড়াগুলিতে আগুন জাতীয় জিনিসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বছরও আগের মতো মেলা হওয়ার কথা ঘোষণা করায় খুশি এলাকাবাসী। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “গত দু'বছর মেলা হলেও কোভিডের কারণে অনেক কিছুতে ছেদ পড়েছিল। তবে এবছর বিগত দিনের মতোই মেলার আয়োজন করা হবে। তবে কোভিড বিধির বিষয়টিও মাথায় রাখা হবে । ”