বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। এ বার সরাসরি প্রচারে নামলেন দু’দলের নেতাকর্মীরা।
বান্দোয়ান বিধানসভার বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী সুশান্ত বেসরার নেতৃত্বে মিছিলে পা মেলালেন দু’দলের কয়েক’শো কর্মী-সমর্থক। পাশাপাশি উড়ল দু’দলের ঝান্ডা। সোমবার বরাবাজারের গ্রামে এমনই দৃশ্য দেখা গেল। ভোটের মুখে এলাকায় এটাই প্রথম যৌথ প্রচার, বলছেন দুই দলের নেতাকর্মীরা।
অনেকেই বলছেন, নেতারা মুখে সমঝোতার কথা বললেও সেই অর্থে কংগ্রেস এবং সিপিএমের কর্মীরা জঙ্গলমহলের এই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে একসঙ্গে হাঁটেননি। বান্দোয়ান বিধানসভার মধ্যে তিনটি থানা এলাকা রয়েছে। বান্দোয়ান, বোরো এবং বরাবাজার। ইতিপূর্বে বান্দোয়ানে এবং বোরোতে যৌথ কর্মিসভা হয়েছে। সভায় দু’দলের ঝান্ডাও দেখা গিয়েছে। অনেকের মত ছিল, তা-ও কোথাও একটা খাপছাড়া ভাব ছিল। সোমবার বরাবাজারে আক্ষরিক অর্থেই যৌথ প্রচার হয়েছে মানছেন তাঁরা। দু’দলের কর্মীদের স্বতস্ফুর্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ দিন বেলা এগারটা নাগাদ মাথার উপরে চড়া রোদ নিয়ে বরাবাজারের ভবানীপুর গ্রাম থেকে মিছিল শুরু হয়। বেলা দেড়টা নাগাদ মিছিল শেষ হয় পাঁচ কিলোমিটার দূরের গ্রাম আমাগাড়ায়। জোটের প্রার্থী সিপিএমের সুশান্ত বেসরা বলেন, ‘‘বান্দোয়ান বিধানসভায় জোট প্রার্থীর সমর্থনে এত দিন কর্মিসভা হয়েছে। কর্মিসভায় দুই দলের কর্মীরা ছিলেন। এই প্রথম দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রোড শো হয়েছে। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা বাজনা নিয়ে মিছিলে হেঁটেছেন।’’ মিছিলে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণপদ সিংহদেও, কংগ্রেসের নেতা রামজীবন মাহাতো, দলের ব্লক সভাপতি ভগীরথ মাহাতো প্রমুখ।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণপদ সিংহদেও বলেন, ‘‘আমরা বুঝিয়েছি, বাঘমুণ্ডি বিধানসভায় কংগ্রেসের নেপাল মাহাতোকে আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা যেমন ভোট দেবেন, তেমনি এখানে জোটের প্রার্থী সিপিএমের সুশান্ত বেসরাকে আপনারা সকলে ভোট দেবেন।’’ বেলডি গ্রামের প্রহ্লাদ মাহাতো, পড়শা গ্রামের বৃদ্ধ অচিন্ত মাহাতোরা দু’দলের এমন মিছিল আগে দেখেননি। তাঁদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই প্রথম যৌথ প্রচার মিছিল দেখলাম। বেশ স্বতস্ফূর্তই ছিল ওই মিছিল।’’
কংগ্রেসের বরাবাজার ব্লক সভাপতি ভগীরথ মাহাতো জানান, মিছিল দেখে মাঝপথে অনেক কংগ্রেস সমর্থক যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধ শক্তিকে একজোট করতে পারলেই ফল মিলবে বলছে দু’দলের নেতারা।