ভোটে গ্রামে ফিরতে চান জরিনাবিবি

পরিবারে মোট ভোটার রয়েছেন ৫২ জন। ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। রয়েছে ভোটার কার্ডও। তবু গত ৬ বছর ধরেই কোনও নির্বাচনেই তাঁরা ভোট দিতে পারেননি। কারণ গত ৬ বছর ধরেই গ্রাম ছেড়ে যাযাবরের মতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে লাভপুরের বুনিয়াডাঙ্গার জরিনাবিবি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লাভপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ০০:১৬
Share:

পরিবারে মোট ভোটার রয়েছেন ৫২ জন। ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। রয়েছে ভোটার কার্ডও। তবু গত ৬ বছর ধরেই কোনও নির্বাচনেই তাঁরা ভোট দিতে পারেননি। কারণ গত ৬ বছর ধরেই গ্রাম ছেড়ে যাযাবরের মতো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে লাভপুরের বুনিয়াডাঙ্গার জরিনাবিবি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। ২০১০ সালে লাগোয়া নবগ্রামের বাড়িতে সালিসি সভায় ডেকে জরিনাবিবির তিন ছেলেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে লাভপুরের এ বারের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক মনিরুল ইসলাম এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

পরে অবশ্য চার্জশিটে মনিরুল-সহ কয়েকজনের নাম বাদ দেয় পুলিশ। কিন্তু মামলাটি এখনও বিচারাধীন। কিন্তু মনিরুল অনুগামীদের হাতে ফের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গ্রামছাড়া হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন জরিনা বিবিরা। গ্রামে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে তাঁদের একাধিক বাড়ি, জায়গা–জমি। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের আগেই প্রশাসনের কাছে গ্রামে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন জরিনা বিবি। কিন্তু প্রশাসন কোনও উদ্যোগই নেয়নি বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ফের বোলপুরের এসডিও শম্পা হাজরার কাছে একই আর্জি জানিয়েছেন জরিনাবিবির এক ছেলে আনারুল সেখ।

বুধবার সেই আবেদন খতিয়ে দেখতে লাভপুরে জরিনাবিবির আর এক ছেলে মজল সেখের বাড়িতে যান ব্লক প্রশাসনের এক প্রতিনিধিদল। পরে মজল বলেন, ‘‘আমরা কে কোথাই আছি, পাকাপাকি ভাবে নাকি শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্যই বাড়ি গ্রামে ফিরতে চাই কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।’’ অন্য দিকে, আনারুল বলেন, ‘‘২০১১ সাল থেকে আমরা গ্রাম ছাড়া রয়েছি। প্রতিটি ভোটের আগে আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দিয়ে গ্রামে ফেরানোর আর্জি জানাই। কিন্তু প্রশাসন তা কানেই তোলে না।’’

Advertisement

কোনও মন্তব্য করতে চাননি মনিরুল ইসলাম। তবে বোলপুরের মহকুমাশাসক শম্পা হাজরা বলেন, ‘‘ওই আবেদন খতিয়ে দেখে লাভপুরের বিডিও-কে রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট পাওয়ার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ অন্য দিকে এ দিন পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে নানুরের চার সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement