শুক্রবার যে বসন্ত বন্দনা হল, সেখানে বর্তমান ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা থাকলেও প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকদের কাউকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন এ বার শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব হবে না। কারণ, তাতে বহিরাগতরা এসে আইনশৃঙ্খলা ভাঙেন। একে তিনি ‘বসন্ত তাণ্ডব’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে পালন হল ‘অকাল বসন্ত’। উপাচার্য যার নাম দিয়েছেন ‘বসন্ত বন্দনা’, সেখানে প্রাক্তন আশ্রমিকদেরও আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। হাতেগোনা কয়েক জনকে নিয়ে বসন্ত বন্দনা করলেন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আগামী ৭ মার্চ হোলি উৎসব। সে দিন বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব হবে না। বদলে শুক্রবার যে বসন্ত বন্দনা হল, সেখানে বর্তমান ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা থাকলেও প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকদের কাউকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। সে আভাস অবশ্য আগেই উপাসনাগৃহ থেকে দিয়েছিলেন উপাচার্য। শান্তিনিকেতনে এ বারের বসন্ত বন্দনায় পর্যটকদের প্রবেশও নিষিদ্ধ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে থেকে অনেকে ঘুরে যান। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। যে বসন্ত উৎসবের এক ঝলক দেখার জন্য দেশ-বিদেশে বসে থাকা বহু বাঙালি মুখিয়ে থাকেন, তাঁরা এ বার সেই অনুষ্ঠান দেখতে পেলেন না। প্রশ্ন উঠছে ‘বসন্ত বন্দনা’য় এত কড়াকড়ি কেন? কেনই বা বাদ দেওয়া হল প্রাক্তনী আশ্রমিকদের? যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। তবে বসন্ত বন্দনা ৩ তারিখে পালন হলেও বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এ দিন কোনও ছুটিও ছিল না।
করোনার পর প্রথম বসন্ত বন্দনায় খুশি শিক্ষার্থীরা। যদিও বেশির ভাগই জানিয়েছেন, উৎসবকে কেন্দ্র করে যে ভিড় হয়, এ বার সেটার অভাববোধ করেছেন তাঁরা।