পুজোর মুখে ‘গোপন ডেরায়’ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ওই জায়গায় হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা বাজির বাজার মূল্য আট থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
সম্প্রতি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে রাজ্যের একাধিক স্থানে প্রাণহানি হয়েছে। এগরার ঘটনার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। এমনিতে প্রতি বছরই পুজোর মুখে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি এবং মজুত রুখতে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু উৎসবের মরসুমে গোপনে বেশ কিছু জায়গায় শব্দবাজি তৈরি হয়। পুলিশের অভিযানের পরেও দেখা যায়, পুজোর সময় বিভিন্ন জায়গায় শব্দবাজির ব্যবহার হচ্ছে। শব্দদূষণের সাক্ষী থাকে মানুষ। এ বার বাঁকুড়ায় কোনও ভাবেই যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য আগে থেকেই বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। এমনই জানাচ্ছেন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি।
পুলিশ জানাচ্ছে, তারা নিজেদের নিজস্ব সূত্রকে কাজে লাগিয়ে লাগাতার অভিযান চালানোর পাশাপাশি, বেআইনি শব্দবাজির মজুত এবং বিক্রি রুখতে বাজারগুলিতে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। এর জেরে চলতি বছর বাঁকুড়ায় লুকিয়ে চুরিয়েও শব্দবাজি বিক্রির সাহস দেখাননি ব্যবসায়ীরা। এমন বাজি বিক্রি বন্ধের পাশাপাশি, ব্যবসায়ীরা যাতে কোনও ভাবেই শব্দবাজি মজুত করতে না পারেন সে ব্যাপারেও সূত্র কাজে লাগিয়ে লাগাতার অভিযান চালায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। সেই অভিযানেই মিলল সাফল্য।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘সূত্র মারফত খবর পাওয়ার পরেই বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ওই গোপন জায়গায় হানা দেয়। সেখান থেকে বাজারমূল্যে প্রায় আট থেকে ১০ লক্ষ টাকার শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হননি। তবে পুজোয় নিষিদ্ধ শব্দবাজির ব্যবহার ঠেকাতে সব রকম চেষ্টা চলছে।’’