প্রতীকী ছবি।
স্কুল খুলেছে বেশ ক’দিন হল। কিন্তু, এখন জেলার স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের হাজির ৫০ শতাংশেও পৌঁছয়নি। নবম ও একাদশ এবং দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাসে উপস্থিতির জন্য দিন ভাগ করে দিলেও হাজিরা তেমন বৃদ্ধি পায়নি। এই অবস্থায় স্কুলে পড়ুয়াদের হাজিরা বাড়ানোর লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সচেতনতা মূলক প্রচার চালালের মাড়গ্রামের প্রতাপপুর হাই স্কুলের শিক্ষকরা। শিক্ষকদের সেই উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়ালেন মসজিদের ইমামও।
শনিবার প্রতাপপুর গ্রামের ইমাম মহম্মদ ওবেইদুল্লা রেজভী মসজিদের মাইক থেকে গ্রামের অভিভাবকদের তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য সচেতন করেন। ইমামের কথায়, ‘‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে অন্য মাস্টারমশাইরা এ দিন গ্রামে গ্রামে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার জন্য সচেতনতা মূলক প্রচার চালাচ্ছিলেন। তাঁদের এই প্রয়াস সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই আমিও ওই উদ্যোগে শামিল হয়েছি। শিক্ষকদের আবেদনে যাতে অভিভাবকেরা সাড়া দেন, সেই কারণে সচেতনতামূলক প্রচার মসজিদ থেকে করা হয়।’’ ইমামের আশা, সম্মিলিত এই উদ্যোগে পড়ুয়াদের উপস্থিতি এর পর থেকে স্কুলে বৃদ্ধি পাবে।
প্রতাপপুর হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, পড়ুয়াদের উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য এ দিন শিক্ষকেরা তিনটি দলে ভাগ হয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার চালান। প্রতিটি দলে আট জন করে শিক্ষক ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রচারে অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আশা করা যায়, আগামী দিন থেকে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে। ’’
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও নবম শ্রেণির বেশ কিছু পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন বাকি আছে। তাদের যাতে রেজিস্ট্রেশন দ্রুত করা হয়, তার জন্যও এ দিন অভিভাবকদের সচেতন করা হয়েছে। অন্যদিকে ধানকাটার মরশুম চলার জন্য অনেক ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা পরিবারের সঙ্গে মাঠের কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য স্কুলে যেতে পারছে না বলেও শিক্ষকেরা জানতে পেরেছেন। প্রতাপপুর গ্রামের এক অভিভাবক বলেন, ‘‘মাঠের কাজে ছেলে ব্যস্ত ছিল বলে স্কুলে যেতে পারেনি। শিক্ষকেরা এসে বলেছেন। মসজিদ থেকে ইমামও ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সোমবার থেকে ছেলেকে স্কুলে পাঠাব।’’