Adhar card

আধার ঠিক করাতে রাত কাটল লাইনেই

এই হয়রানির সুরাহা চাইছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, বাড়ির কাছে কোথাও আধার কার্ডের কাজ হলে সুবিধা হয়।

Advertisement

শুভদীপ পাল 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২১ ০০:৫০
Share:

অপেক্ষায়: এ ভাবেই রাতভর অপেক্ষায় ছিলেন অনেকে। সিউড়িতে। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেউ করাবেন নতুন আধার কার্ড৷ কেউ করাবেন সংশোধন। তার জন্যই সিউড়ি প্রধান ডাকঘরের সামনে রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে রইলেন শ’খানেক মানুষ। অনেকের রাতে খাবারও জোটেনি।

Advertisement

ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, আধার কার্ড করানো বা আধার কার্ড সংশোধনের জন্য প্রতি সপ্তাহের ৭০ থেকে ৮০টি টোকেন দেওয়া হচ্ছে। সেই টোকেনে তারিখ ও সময় উল্লেখ করে রাখা হয়েছে।

ওই তারিখ ও সময়মতো টোকেন নিয়ে আসতে হবে পোস্ট অফিসে। আর সেই টোকেন সংগ্রহ করার জন্য শুক্রবার রাতভর লাইন কাটালেন প্রায় ৯০ জন মানুষ। তাঁদের কারও বাড়ি মহম্মদবাজার থানা এলাকার গণপুর তো কারও চন্দ্রপুর থানা এলাকার মাধাইপুর। কারও বাড়ি আবার পটেলনগর।

Advertisement

এই হয়রানির সুরাহা চাইছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, বাড়ির কাছে কোথাও আধার কার্ডের কাজ হলে সুবিধা হয়। পটেলনগরের বাসিন্দা আরেফা বিবি বলছেন, ‘‘আধার কার্ডে নামে ভুল করেছে। তাই আসতে হয়েছে। আমি শুক্রবার বেলা ১টা সময় এসেছি। সারা রাত অপেক্ষা করেছি আধার কার্ডের কুপন নেব বলে। খুব সমস্যা হচ্ছে। মহিলা হয়ে এইভাবে রাস্তায় রাত কাটাতে হচ্ছে।’’ একই কথা বলেছেন সেখ জামিরউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ১০ জন এসেছি। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মেয়েও রয়েছে। সঙ্গে ছোট বাচ্চাও রয়েছে। আমরা চাই আধার কার্ডের এই ব্যবস্থা প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে করা হোক। তাহলে আমাদের অনেক উপকার হয়।’’ সিউড়ির এসপি মোড় এলাকার বাসিন্দা সঙ্গীতা দলুই জানান, ‘‘আমা ছেলের আধার কার্ডে ভুল রয়েছে। এর আগে তিন সপ্তাহ ধরে ঘুরেছি। এবার সারা রাত কাটাতে হবে টোকেন সংগ্রহের জন্য।’’

রাতভর অপেক্ষায় থাকা ওই বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার জন্য ওই এলাকায় পুলিশের গাড়ি বেশ কয়েকবার টহল দিয়েছে। কিন্তু স্থায়ীভাবে কোনও পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি। তাছাড়া অনেকের রাতের খাবারও জোটেনি। কেউ কেউ বাড়ি থেকে কিছু খাবার এনেছিলেন। তাই খেয়েই রাত কাটিয়েছেন। তাই তাঁরা দাবি তুলছেন যে, বাড়ির কাছে কোথাও আধার কার্ড সংশোধনের ব্যবস্থা করার জন্য।

বীরভূমের পোস্টাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট নাজমুল হক চৌধুরী বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক সেই অর্থে আধার করছে না। কিন্তু করার কথা বড় পোস্ট অফিসগুলি এবং ব্যাঙ্কগুলির। সেইজন্য আগে থেকে মানুষ পোস্ট অফিসে চলে আসছেন নাম লেখাতে। এটা একটা কারণ। এ ছাড়া ঝাড়খণ্ড এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ চলে আসছেন। সেই জন্য এই লাইন। ব্যাঙ্কগুলি এবার যদি ঠিকঠাকভাবে করে তাহলে এই সমস্যা হয় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement