পুলিশের ভুঁড়ি কমাতে থানা চত্বরেই জিম

পুলিশ কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাজ্য পুলিশের ‘ভিশন ২০২০’ নথিতেও স্বীকার করা হয়েছে, অত্যাধিক শারীরিক এবং মানসিক পরিশ্রমের কারণে ডায়বিটিস এবং হাইপার টেনশনের মতো রোগে ভোগেন অনেক পুলিশকর্মী। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বারবার পুলিশের শারীরিক সক্ষমতার উপর জোর দিতে বলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০৭
Share:

জিমের উদ্বোধনে জেলা পুলিশ সুপার (মাঝখানে)। — নিজস্ব চিত্র

‘আগে শরীর গড়’। এ বছরের বড়দিনে পুলিশকর্মীদের জন্য বার্তা দিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

মঙ্গলবার মানবাজার থানা চত্বরে আধুনিক ‘ফাইভ স্টেশন মাল্টিজিমে’র উদ্বোধন করেন জেলার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া। তিনি জানান, জিমটি ব্যবহার করবেন পুলিশকর্মীরা। তবে পরে যাতে এলাকায় তরুণ-তরুণীরাও সেটি ব্যবহার করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে জিম-ব্যবহারকারীদের পরিচয়পত্র দেবে পুলিশ।

পুলিশ কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাজ্য পুলিশের ‘ভিশন ২০২০’ নথিতেও স্বীকার করা হয়েছে, অত্যাধিক শারীরিক এবং মানসিক পরিশ্রমের কারণে ডায়বিটিস এবং হাইপার টেনশনের মতো রোগে ভোগেন অনেক পুলিশকর্মী। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বারবার পুলিশের শারীরিক সক্ষমতার উপর জোর দিতে বলেন।

Advertisement

বড়দিন উপলক্ষে এদিন মানবাজার পুলিশের জিমটিকে সাজানো হয়েছিল। ছোটছোট দেবদারু গাছের ডালে ঝোলান হয়েছিল সান্তাক্লজ় এবং চকোলেট। আলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল গাছগুলি। সবুজ কার্পেটে ঢাকা ছিল জিমের মেঝে। সেখানে রাখা হয়েছে মেদহীন শরীর গঠনের যাবতীয় আধুনিক যন্ত্র। ডাম্বেল, ডনবার সিট আপ বেঞ্চ, টুইস্টার, রিস্ট লাটাই, মেডিসিন বলের মতো উপকরণগুলিও রয়েছে। পেটের চর্বি কমানোর জন্য বিশেষ ধরনের সাইকেলও রয়েছে জিমে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝালদা, বরাবাজারের মতো কয়েকটি থানায় পুলিশকর্মীদের শরীরচর্চার জন্য কয়েকটি যন্ত্র রয়েছে। তবে জিম বলতে প্রকৃতপক্ষে যা বোঝায় তা এতদিন কোনও থানাতেই ছিল না। এতদিনে সেই অভাব পূরণ হল। তবে জিম হলেও তা পুলিশকর্মীরা কতটা ব্যবহার করবেন তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। পুলিশকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, কাজের পর শরীরচর্চার জন্য খুব একটা সময় তাঁদের হাতে থাকে না। তবে এবার পুলিশকর্মীদের জন্য আধুনিক জিমের ব্যবস্থা হওয়ায় শরীরচর্চা নিয়ে তাঁরা আরও সচেতন হবেন বলে আশা পুলিশকর্তাদের।

পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকার যে সকল তরুণ-তরুণী জিমটি ব্যবহার করতে চাইবেন, তাঁদের আবেদন জানাতে হবে। আবেদন মঞ্জুর হলে তাঁরা সেটি ব্যবহার করতে পারবেন। জিমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার দায়িত্বে থাকবেন এক পুলিশকর্মী। এদিন জিমের উদ্বোধনে মানবাজারের এসডিপিও আফজল আবরার, ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) বিদ্যুৎ তরফদার, ডিএসপি (ট্রাফিক ) দূর্লভ সরকার, ডিএসপি (প্রোবেশন) আবদুল কাউম এবং মানবাজার মহকুমা থানা এলাকার সমস্ত আইসি এবং ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement