এই হিমঘর থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল গ্যাস। — নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ। নাক, কান, গলায় তীব্র জ্বলুনি। আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন স্থানীয়রা। ছুটে আসে পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জানা যায়, একটি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা হিমঘর থেকে আসছে গন্ধ। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গ্যাস লিক করেই এই কাণ্ড। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গ্যাস লিক বন্ধ করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সারেঙ্গার নেতাজি মোড় এলাকায় তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ পেতে শুরু করেন লোকজন। সেই সঙ্গে নাক, কান ও গলায় তীব্র জ্বলুনি। আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন বাসিন্দারা। কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল না কোথা থেকে আসছে সেই তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি আসে দমকলও।
বেশ কিছুক্ষণ সন্ধান চালিয়ে জানা যায় স্থানীয় একটি অব্যবহৃত হিমঘরের গ্যাস চেম্বার থেকে ধোঁয়ার আকারে বেরিয়ে আসছে গ্যাস। হিমঘর ঠান্ডা রাখার জন্য অ্যামোনিয়া গ্যাস ব্যবহার হয়। সেই গ্যাস লিক করে এলাকায় ছড়িয়ে পড়াতেই বিপত্তি। প্রায় কুড়ি বছর ধরে সেই হিমঘরটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির সদস্য তারাশঙ্কর মহাপাত্র বলেন, “প্রায় কুড়ি বছর ধরে ওই হিমঘর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই কোথায় কোন গ্যাস ছিল তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ওই হিমঘরের সীমানা পাঁচিল বলে এখন আর কিছু নেই। ফলে মাঝেমধ্যেই দুষ্কৃতীরা অনায়াসে ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে। ঘটনার পিছনে দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’’ বাঁকুড়ার সারেঙ্গার বিডিও ফাহিম আলম বলেন, “দমকল বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও স্থানীয় হিমঘর বিশেষজ্ঞদের মিলিত চেষ্টায় ওই গ্যাস বেরনো বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়দের সুরক্ষার কথা ভেবে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও পরে তাঁদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’’