নিজস্ব চিত্র
বিজেপি এবং কংগ্রেস থেকে একাধিক সদস্য যোগ দেওয়াতে পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পথে তৃণমূল। সেই সঙ্গে এই ব্লকের তুনতুড়ি-সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েত ও ঝালদা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতেও শক্তি বাড়ল শাসক শিবিরের।
বৃহস্পতিবার বাগমুন্ডি ও ঝালদা ব্লক এলাকার একাধিক বিজেপি ও কংগ্রেস নেতা-কর্মী শাসকদলে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বাগমুন্ডি বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। গুরিপদ টুডু বলেন, ‘‘বিজেপি-র প্রতি তাদের নেতা এবং কর্মীদেরই মোহ ভঙ্গ হয়েছে। তাই তাঁর তৃণমূলে যোগ দিতে যোগাযোগ করছেন।’’
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসের সহ সভাপতি ক্ষুদিরাম কৈবর্ত, বিজেপি-র কর্মাধ্যক্ষ সুধীর মাহাতো ও দুই সদস্য মৃত্যুঞ্জয় কুমার ও সুষেণ মাহাতো তৃণমূলে যোগ দেন। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ২১। নির্বাচনে বিজেপি ৯টি, তৃণমূল ৬টি, কংগ্রেস ৫টি ও ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি আসনে জেতে। বিজেপি ও কংগ্রেস মিলে এখানে বোর্ড গঠন করে। বোর্ড গঠনের পর কংগ্রেসের দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। তাতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২। বিজেপির কমে হয় ৫। কারণ, কিছুদিন আগে এক সদস্য প্রয়াত হন। সূত্রের খবর, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তাদের দলে আসাতে শীঘ্রই এই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে তৃণমূল।
অন্যদিকে, বাগমুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি ও কংগ্রেসের ৫ সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি-র উপ প্রধান মানোরঞ্জন কৈবর্ত ও দুই সদস্য দিলীপ কুমার ও ভাগবত মুড়া। বাকি দুই সদস্য কংগ্রেসের। ১৫ আসন বিশিষ্ট বাঘমুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতে বর্তমানে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৮ । তাই আসন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামী দিনে পঞ্চায়েতটিও দখলে নিতে পারে তৃণমূল।