১০ জানুয়ারি, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে শিলান্যাস হতে পারে বাউল আকাডেমির। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বীরভূমে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য প্রকল্পের সঙ্গে ওই দিনই আকাডেমির শিলান্যাস করা হতে পারে। সরকারি জমিতে ওই আকাডেমি গড়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
গত বছরের ১৮ জানুয়ারি জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী বাউল আকাদেমি গড়ে তোলার ঘোষণা করেছিলেন। তারপরেই প্রশাসন সক্রিয় হয়। দেখা হয় জমি। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সেই জমি প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ চলছে। বাউল আকাদেমির প্রস্তাবে প্রথম থেকেই উৎসাহিত বীরভূমের বাউল মহল। প্রবীন বাউলেরা আগেই একে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের কিছু প্রস্তাবও রয়েছে। তরুণ খ্যাপা, রাওতারা গ্রামের শান্তিরাম বাউলদের কথায়, ‘‘আকাদেমিতে রাজ্যের প্রবীন বাউলদের দিয়ে নবীন বাউলদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে খুব ভাল হবে।’’ দুঃস্থ, কর্মহীন বাউলদেরও আকদেমিতে বিনা ব্যয়ে থাকা-খাওয়ার প্রস্তাব রাখছেন তাঁরা। পরিচয় পত্র থাকা বাউলদের ন্যূনতম মাসিক ভাতা চালুর প্রস্তাবও দিয়েছেন কেউ কেউ।
মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বাউলদের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর মানেই নতুন নতুন প্রকল্প ঘোষণা হয়। তবে আমরা চাওয়ার থেকে পেয়েছি বেশি।’’ সিউড়িতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে কিছু কর্মী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুরসভার মধ্যে নাট্যমঞ্চ ও প্রেক্ষাগৃহের আবেদন রেখেছেন। নাট্যকর্মী বরুণ চক্রবর্তী, রজ সাহা, সুবিনয় দাস, স্বপন রায়েরা জানান, সিউড়িতে অনেকগুলি নাট্যদল ও সাংস্কৃতিক সংস্থা রয়েছে। কিন্তু মঞ্চের অভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তেমন অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী চন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন, পুরসভার পড়ে থাকা জায়গায় মঞ্চ ও হল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে তা তাড়াতাড়ি হয়, তার জন্য তদ্বির করা হবে।