অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড হাতে বোলপুরের প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
তিনি এখন জেলায় নেই, আছেন জেলে। বুধবার বোলপুর দেখল, অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি থাকলেও বহু কর্মীর মনে রয়েছেন এখনও। এ দিন বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তৃতায় একবারও নাম আসেনি বীরভূমের কেষ্টদার। কিন্তু, সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদানকারী অনেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থককেই দেখা গিয়েছে হাতে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রতের ছবি নিয়ে সভাস্থলে পৌঁছতে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম সফরে যতবার এসেছেন, প্রত্যেকবারই পাশে পেয়েছেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রতকে। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। গত অগস্টে গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর থেকে তিনি আসানসোল জেলে রয়েছেন। এমন আবহে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকে স্বাগত জানিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বোলপুর শহরকে পোস্টার, ফ্লেক্স ও বড় বড় তোরণে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সেখানে তৃণমূল নেত্রী থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরীর মতো নেতাদের ছবি দেওয়া হলেও কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি রাখা হয়নি। অনুব্রত-হীন জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সফরে জেলা সভাপতির ছবি না থাকা নিয়ে দলের অন্দরেও প্রশ্ন আছে। এই নিয়ে দলের কর্মীদের একাংশের কিছুটা ক্ষোভও রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। অন্য দিকে, দলের নেতাদের একাংশের দাবি, অনুব্রতের ‘প্রভাবশালী’ তকমা সরাতেই এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে।
এ দিন অনেকেই অবশ্য অনুব্রতের ছবির কাটআউট নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সভায়। মালতি হেমব্রম,সবিতা দাস, ছায়া ঘোষেরা বলছেন, ‘‘কেষ্টদা জেলে থাকলে কী হবে, উনি আমাদের হৃদয়ে আছেন। বীরভূম জেলয় তাঁর বিকল্প কাউকে ভাবতে পারি না।” এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দলের কোনও নেতা মুখ খুলতে চাননি। এ দিন ডাকবাংলো মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভার শুরুতেই কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে হুড়োহুড়িও পড়ে যায়। পরে অবশ্য দলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।