Solar Power Project

ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প

জিএম জানান, ভিরিঙ্গি ইনটেক থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসা জল সংরক্ষিত হয় একটি বড় জলাধারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁওতালডিহি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ০৯:২৯
Share:

এখানেই হবে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র।

৫০ বছর পূর্তিতে নতুন দু‘টি ইউনিট উপহার পেয়েছিল সাঁওতালডিহির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেই সাঁওতালডিহিতেই এ বারে দু‘টি নতুন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে ওই দুই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার অলোক ঘোষ বলেন, “দুই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে মোট সাড়ে ২৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। সেই বিদ্যুৎ পাঠানো হবে গ্রিডে।”

Advertisement

সূত্রের খবর, ১৫৪.৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে দশ মেগাওয়াট করে উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দু‘টি ইউনিট ও ৫৪.৬৯ কোটি টাকায় সাড়ে সাত মেগাওয়াটের একটি জলে ভাসমান ইউনিট তৈরি করা হবে।

গত বছরই ৫০-এ পা দিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অধীনস্থ এসটিপিএস। পূর্তি অনুষ্ঠানে এসে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাঁওতালডিহির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নতুন দু‘টি ইউনিট তৈরি নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। নতুন দুই ইউনিট থেকে মোট ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। পিডিসিএলের হাতে থাকা ১৮০০ একর জমিতেই নতুন দু‘টি ইউনিট তৈরি হবে। পরে রাজ্য বাজেটেও তা ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে সাঁওতালডিহিতে ২০০ কোটির কিছু বেশি ব্যয়ে দু‘টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

জিএম জানান, ভিরিঙ্গি ইনটেক থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসা জল সংরক্ষিত হয় একটি বড় জলাধারে। ভাসমান ইউনিটটিকে দু‘ভাগ ভাগ করে একটি সেই জলাধারে অন্যটি আরও একটি জলাধারে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একটি ভাসমান ইউনিট থেকে উৎপাদিত হবে ছয় মেগাওয়াট। অন্যটির উৎপাদন ক্ষমতা দেড় মেগাওয়াট।

দশ মেগাওয়াট করে অপর দু‘টি ইউনিট অন্য সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মতোই জমিতে নির্মিত হবে। সূত্রের খবর, ইউনিট দু‘টি হবে ছাইপুকুর ও দমকল কেন্দ্র এলাকায়। সেই কাজের সমীক্ষা চলছে।

নতুন দু‘টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে রাজ্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তৃণমূল অনুমোদিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মী ইউনিয়ন। সংগঠনের সভাপতি অনুপ সরকার বলেন, “রাজ্য বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ করছে সাঁওতালডিহিতে। এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার বদল ঘটবে। সঙ্গে কর্মসংস্থানও হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement