—নিজস্ব চিত্র।
মন ভাল নেই দুবরাজপুরের দরবেশ পাড়ার। করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের জেরে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ধীরে হলেও বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। চলছে সরকারি বিধিনিষেধও। তাই চলতি বছর জয়দেব-কেঁদুলি মেলায় পুণ্যস্নান করতে হাতেগোনা সাধুসন্ত ও পুণ্যার্থী এসেছিলেন। এমন আগে কখনও দেখেনি দুবরাজপুর। তবে স্বল্প সংখ্যক হলেও চলছে বাউল গানের আসর।
মূলত বাউলগান, ফকিরি গান, লোকগীতি ও আধ্যাত্মিক আলোচনা শোনার জন্যই দুবরাজপুরে ছুটে আসেন অনেকে। বাউল গানের আসরে বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তের বাউল শিল্পীরাই শুধু নন, বাঁকুড়া, মানভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ-সহ ভিন্ রাজ্য ঝাড়খণ্ড বা সূদূর বোকারো থেকেও জমায়েত হয়।
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে বীরভূমের অজয় নদে তীরে বহুকাল ধরে জয়দেব-কেঁদুলি মেলা হয়ে আসছে। দরবেশে আসা বাউল শিল্পীরা বেশির ভাগই জয়দেব মেলা শেষে এখানে আসেন। মেলা থেকে বাউল গানকে সঙ্গী করে জমায়েত হয় দরবেশবাবার আখড়ায়। বীরভূমের দুবরাজপুরের পাহাড়েশ্বর বা মামাভাগ্নে পাহাড়ের পাশেই রয়েছে দরবেশ পাড়া। এখানেই রয়েছে সাধক অটলবিহারী দরবেশের সমাধি। রীতি মেনে তাঁর সমাধিস্থলে বসে বাউল গানের আসর।
জয়দেবের মেলা শেষে গত ৫৫০ বছরের রীতি অনুসারে মাঘ মাসের ৩, ৪ ও ৫ তারিখ দরবেশবাবার আগড়ায় চলে বাউল গানের আসর। পাশাপাশি থাকে ফকিরি এবং লোকগীতিও। অনুষ্ঠানের শেষ দিনে হয় সাধুসেবা ও ধুলোট। সাধুসন্ত, আউল-বাউল, সাঁই, দরবেশদের নিয়ে হয় শহর পরিক্রমাও।