চাঁদড়া-পায়রাচালি পঞ্চায়েত। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
কারও বয়স ৬৮, তো কারও বয়স ৭৮। সোমবার এমনই বয়সের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা শারীরিক সমস্যা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত অফিসে এসে নিজেদের পেনশনের দাবি জানালেন। তাঁদের দাবি, বার্ধক্য ভাতার পেনশন দিতে হবে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বৃদ্ধা বিধবা ভাতারও দাবিও তুলেছেন। সোমবার পুঞ্চা থানার চাঁদড়া-পায়রাচালি পঞ্চায়েত অফিসে তাঁরা অনশনে বসেন।
তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পায়রাচালি গ্রামের বাসিন্দা বিজেপির জেলা কমিটির অন্যতম সম্পাদক শৈলেন মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, ‘‘চাঁদড়া-পায়রাচালি পঞ্চায়েতের অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় বহু প্রবীণ বাসিন্দা পেনশনের যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তা পাচ্ছেন না। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের। এ দিন দেড়শোজন সকাল ১০টা থেকে অনশনে বসেন।’’
চাঁদড়া-পায়রাচালি অঞ্চলের শ্রীরামঘুটু গ্রামের বাসিন্দা সহদেব হেমব্রম, শিরিষগোড়া গ্রামের হরিপদ সোরেন, দাতারডি গ্রামের কানু সোরেন বলেন, ‘‘বয়সের ভারে আমরা কাজ করতে পারি না। আমাদের মতো গরিবদের জন্য সরকার বার্ধক্যভাতা ও বিধবাভাতা চালু করলেও সেই সুবিধা থেকে আমরা কেন বঞ্চিত থাকব? পেনশন না পাওয়া পর্যন্ত আমরা দাবি থেকে সরব না।’’ চাঁদড়া-পায়রাচালি পঞ্চায়েতের প্রধান সুচিত্রা মুর্মু বলেন, ‘‘ওঁদের দাবি ব্লক অফিসে জানাব।’’ বিকেলে মানবাজার ১ বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস চাঁদড়া-পায়রাচালি পঞ্চায়েত অফিসে যান। বিডিও জানান, প্রতিটি ব্লক ভিত্তিক বার্ধক্যভাতা ও বিধবাভাতার নির্দিষ্ট কোটা রয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগ, সমাজ কল্যাণ দফতর প্রভৃতি বিভিন্ন দফতর থেকে বার্ধক্যভাতা ও বিধবাভাতা মেলে। ইতিপূর্বে জনগণনা সমীক্ষার সময় আর্থ-সামাজিক যে সব তথ্য মিলেছিল তাতে বয়সের উল্লেখ রয়েছে। সেই সব তথ্য থেকেই যোগ্য ব্যক্তিরা পেনশন প্রাপকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। তবে ওঁদের দাবি জেলা কর্তৃপক্ষকে জানাব। বিবেচনার আশ্বাস মেলায় এ দিন বিকেলের দিকে অবস্থান তুলে নেওয়া হয়।