বিজয় দাই এর মা শঙ্খ বাজাচ্ছে। পাশে বাবা ও পরিবারের সদস্যরা। —নিজস্ব চিত্র।
ঘণ্টাখানেক টিভির সামনে ঠায় বসে। উৎকণ্ঠায় শরীর খারাপ লাগছিল। তার পরেও সরে যাননি। কারণ, বুধবার দুপুরেও ফোন করে ছেলে টিভি দেখতে বলেছিল। রুদ্ধশ্বাস বেশ কয়েক মিনিট বাদে বুধবার সন্ধ্যায় অবশেষে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটিতে পা রাখল। চোখের জল আটকাতে পারলেন না ইসরোর সিনিয়র বিজ্ঞানী বিজয় দাইয়ের মা শ্যামলী দাই। তার পরেই শাঁখে ফুঁ দিলেন। উলুধ্বনি দিলেন প্রতিবেশীরা। চার পাশে তখন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছেন গ্রামবাসীরাও।
শ্যামলী জানালেন, কয়েক দিন থেকে চিন্তায় চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দুপুরে ছেলের ফোন পেয়ে ছেলের নির্দেশে মতো ওষুধ খেয়ে বিকেলে টিভির সামনে বসে চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণের ছবি দেখলেন। টিভিতে ছেলের সাফল্যের হাসি দেখে আনন্দে মা চোখের জল ধরে রাখতে পারে নি। বিজয়ের বাবা নারায়ণচন্দ্র দাই ভারত মাতার নামে জয়ধ্বনি দিলেন। গলা মেলালেন প্রতিবেশীরাও।শ্যামলী দাই বলেন, ‘‘এর আগে চন্দ্রযান-২ যখন ভেঙে পড়েছিল, তখন ছেলেও খুব ভেঙে পড়েছিল। এ বার মাস দুয়েক আগে বাড়িতে এসেছিল। তখন বলে গিয়েছিল চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণ দেখতে।’’