uttarakhand glacier burst

খোঁজ নিতে উত্তরাখণ্ডে পরিজনেরা

প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্য সচিবের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গে এবং পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন দিল্লিতে রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:১১
Share:

তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সুড়ঙ্গের আশপাশে চলছে উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার চামোলীতে। পিটিআই।

চামোলীর ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে নিখোঁজ দুই ঠিকা শ্রমিকের পরিজনেরা বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া থেকে উত্তরাখণ্ডে রওনা হলেন। রবিবার উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে নিখোঁজ আড়শা থানার বাগানডি গ্রামের ওই দুই যুবক শুভঙ্কর তন্তুবায় ও অশ্বিনী তন্তুবায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্য সচিবের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গে এবং পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন দিল্লিতে রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত দু’জনের কোন খবর মেলেনি।

Advertisement

এ দিন দু’টি পরিবারের চার জন উত্তরাখণ্ড রওনা হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শুভঙ্করের দাদা রবীন্দ্র তন্তুবায়, অশ্বিনীর দাদা লক্ষ্মীকান্ত তন্তুবায় এবং দু’জনের দুই আত্মীয়। বিকেলে পুরুলিয়া থেকে সড়ক পথে রাঁচীর উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি তৃণমূলের উজ্জ্বল কুমার বলেন, ‘‘রাঁচী যাওয়ার ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের তরফেই করা হয়েছে। কোনও খবর না পেয়ে উদ্বেগ বেড়ে চলেছে।’’

পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’টি পরিবারের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরা ওখানে যেতে চাইছিলেন।’’ তিনি জানান, রাতে রাঁচী থেকে উড়ানে দিল্লি পৌঁছবেন ওই চার জন। প্রশাসনের তরফেই রাঁচী থেকে উড়ানের টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিল্লিতে বঙ্গভবনে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে সকালে উত্তরাখণ্ড রওনা হবেন। বঙ্গভবনে থাকা এবং গাড়ির ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। প্রত্যেককে পরিচয়পত্র এবং উত্তরাখণ্ড প্রশাসনকে সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে একটি চিঠিও তাঁদের দেওয়া হয়েছে। সুজয়বাবু বলেন, ‘‘বঙ্গভবন থেকে শুক্রবার সকালে একটি গাড়িতে পাহাড়ি রাস্তার শুরু পর্যন্ত তাঁরা যাবেন। তার পরে অন্য গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে।’’ তিনি জানান, তৃণমূলের তরফেও তাঁদের কিছু আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।

Advertisement

শুভঙ্করের দাদা রবীন্দ্র তন্তুবায় বলেন, ‘‘ঘরে মন মানছে না। ওখানে গেলে হয়তো কিছু জানতে পারব। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। তারাই ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’’ অশ্বিনীর দাদা লক্ষ্মীকান্ত বলেন, ‘‘জানি না, ওখানে গিয়ে কী খবর পাব। তবে যে ঠিকাদারের মাধ্যমে ওরা গিয়েছিল, তার লোকজন আমাদের যেতে বলেছে। তাই যাচ্ছি।’’ পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা পরিবার দু’টিকে সব ধরনের সাহায্য করে চলেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement