সিউড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বহির্বিভাগে ফলস সিলিং ভেঙে পড়েছে। — নিজস্ব চিত্র।
সিউড়ি সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে (সুপার স্পেশালিটি) ফের ভেঙে পড়ল ফলস সিলিং। তবে এ বার কেউ আহত হননি বলেই জানা গিয়েছে৷ কয়েক মাস আগেও এই হাসপাতালের ফলস সিলিং ভেঙে আহত হয়েছিলেন রোগী ও রোগীর পরিজনে। ফের এমন ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন উঠছে সদর হাসপাতালের পরিকাঠামোর মান নিয়ে।
বেশ কয়েক মাস ধরেই সিউড়ি সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে বিভিন্ন রকম সংস্কারের কাজ চলছে। নতুন করে টাইলস এবং ফলস সিলিং লাগানো হচ্ছে৷ তারই মাঝে নতুন ভবনের দোতলার বহির্বিভাগে একটি বড় অংশের ফলস সিলিং ভেঙে পড়ে মঙ্গলবার সকালে। ওই অংশটি রোগীর পরিজনদের বসার জায়গা। ওই সময় সেখানে কেউ না থাকায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। যদিও যতটা অংশের ফলস সিলিং এক সঙ্গে ভেঙে পড়েছে, তাতে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের।
এর আগেও সিউড়ির দশতলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালের এই নতুন ভবনের পথচলা শুরু হয়। শিশু ও প্রসূতি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য সমস্ত বিভাগকেই হাসপাতালের পুরনো ভবন থেকে সরিয়ে এই নতুন ভবনে নিয়ে আসা হয়। তবে, দ্বিতীয় বছরেই হাসপাতালের দেওয়ালের টাইলস খসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে টাইলস খসে পড়ে মেল ওয়ার্ডের এক রোগী আহত হন। ওই বছরই জুনে হাসপাতালের সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে এক রোগী আহত হন। গত বছর ৩০ অক্টোবর ফিমেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের পাঁচ নম্বর ঘরে ফলস সিলিং ভেঙে পড়ে আহত হন এক রোগী এবং আর এক রোগীর আত্মীয়।
ফের একই ঘটনা এ দিন। ফলে, আতঙ্কে রয়েছেন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা। ভয় আছে নার্স ও চিকিৎসকদের মনেও। বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “এটা স্বাস্থ্য পরিষেবার খারাপ দশার ছবি। এই ঘটনায় কেউ আহত হননি, সেটা বড় কথা নয়। বরং যে কেউ আহত হতে পারতেন। এই ধরনের ঘটনা ক্রমান্বয়ে চলছে। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাজ্যকে জানিয়েছি।’’ তিনি জানান, দিন সাতেক আগেই পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং জেনারেল ম্যানেজার সিউড়ি সদর হাসপাতাল, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করে গিয়েছেন। দ্রুত সংস্কার কাজের ব্যাপারেও নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। এ দিনের ঘটনা আলাদা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।