বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা।
রবিবার দুপুরে বোলপুরের সিঙ্গি গ্রামের পূর্বপাড়ায় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ওই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বাড়িতে মজুত রাখা বোমা ফেটে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনায় তৃণমূল কর্মী অপু যশ-সহ কম পক্ষে তিন জন আহত হয়েছেন বলেও তাঁদের দাবি। যদিও ঘটনার পর থেকেই এলাকায় দেখা যায়নি ওই তৃণমূল কর্মীকে। তাঁর স্ত্রীর দাবি, রান্নার সময়ে স্টোভ ফেটেই ওই বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ। সরকারি ভাবে ওই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবরও মেলেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বোমা ফেটে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ৩টে নাগাদ প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে গ্রামের পূর্বপাড়া কেঁপে ওঠে। প্রথমে কেউ ঘটনার কথা আঁচ করতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, শোয়েবা বিবিরা বলেন, ‘‘দুপুরে বিশ্রাম করার সময়ে আচমকা প্রচণ্ড শব্দে গোটা পাড়া কেঁপে ওঠে। কেউ কেউ ভেবেছিলেন আশপাশে কোথাও পুলিশ হয়তো উদ্ধার হওয়া বোমা নিষ্ক্রিয় করছে। কিছু পরেই অপু যশের বাড়িতে বিস্ফোরণের কথা জানাজানি হয়।’’ পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি অপু যশ এলাকায় জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী বলে পরিচিত নানুরের নেতা কাজল শেখের অনুগামী বলেই পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে ওই বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। ওই বাড়ি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর যদিও দাবি, দুপুরে রান্না করার সময়ে কেরোসিন স্টোভ ফেটে এমনটা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘চিলে কোঠার নীচে কেরোসিন দিয়ে স্টোভে রান্না করছিলাম। অসাবধানবশ সেটা ফেটে যায়। তবে কারও চোট লাগেনি।’’ তাঁর দাবি, ঘটনার সময়ে কাজের সূত্রে তাঁর স্বামী বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার কথা থানায় দিলেও পুলিশ দেরি করে ঘঠনাস্থলে আসে। সে কারণে ক্ষোভ বাড়ে বাসিন্দাদের।
বোমা বিস্ফোরণের কথা মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের বোলপুর ব্লক সভাপতি রহিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাসিন্দারা পুলিশকে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। কে কী কারণে বোমা মজুত করে রেখেছিল, পুলিশ তদন্ত করে, দেখুক। অপরাধীদের ধরুক।’’