প্রতীকী ছবি। তিয়াসা দাস
এক তৃণমূল কর্মী খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা আনারুল ইসলামকে গ্রেফতার করল লাভপুর থানার পুলিশ। ওই খুনের ঘটনায় মনিরুল ইসলামকে খোঁজা হচ্ছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি জুলাই মাসে খুন হন লাভপুরের বাঘা গ্রামের সহদেব বাগদি। বাড়ি থেকে কিলোমিটার দেড়েক দূরে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি তৃণমূলের বুথ কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট ঠিবা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। রাজনৈতিক আক্রোশে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে বলে তৃণমূল এবং নিহতের পরিবার অভিযোগ তোলে। মনিরুল, আনারুল-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে ৫ জন ধরা পড়লেও মনিরুল এবং আনারুল ছিলেন অধরা। বৃহস্পতিবার রাতে বোলপুরের কাশীপুর গ্রাম থেকে আনারুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
গত লোকসভা নির্বাচনের পরে পরেই তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হওয়া মনিরুল বিজেপিতে যোগ দেন। তার পরে ২০১০ সালে তিন সিপিএম সমর্থক খুনের মামলায় নতুন করে তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে। যদিও এর আগে ওই খুনের চার্জশিটে বীরভূম জেলা পুলিশই তাঁকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিল। এর পরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার মামলাতেও মনিরুল ও আনারুলের নাম জড়ায়। আনারুল তৃণমূলের ব্লক সংখ্যালঘু সেলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বিজেপি-র স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের দাবি, ‘‘আমাদের কেউ ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে। মনিরুল এবং আনারুল আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলেই রাজনৈতিক আক্রোশে তাদের নাম জড়ানো হয়েছে।’’ যে পাঁচ জনকে আগে ধরা হয়েছে, তাঁরাও তৃণমূল কর্মী বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি।
তৃণমূলের লাভপুর ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশ মৃতের পরিবারের তরফে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করেছে। রাজনৈতিক আক্রোশের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ পুলিশ জানায়, গ্রেফতারি এড়াতে আনারুল ইসলাম এত দিন পলাতক ছিলেন। মনিরুল ইসলামকেও খোঁজা হচ্ছে। এ দিন অনেক চেষ্টা করেও বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।