রঘুনাথপুরের শিল্প-সম্ভাবনাকে তৃণমূল সরকার নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তুললেন সিপিএমের যুব সংগঠন, ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তোপের মুখে পড়ে বিজেপিও। এলাকার বিধায়ক, সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির হলেও রঘুনাথপুরে শিল্প গড়তে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান হয়ে পুরুলিয়ায় পৌঁছয় সংগঠনের ‘ইনসাফ যাত্রা’। বৃহস্পতিবার সকালে নিতুড়িয়া থেকে সড়বড়ি ও দুপুরে রঘুনাথপুর শহরের অদূরে বুন্দলা সেতু থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পদযাত্রা হয়। পরে বাসস্ট্যান্ডের সভা থেকে মীনাক্ষী দাবি করেন, ‘‘বামেরা জমি অধিগ্রহণ করে দিয়েছিল। সেই জমি পড়ে আছে। তা হলে কেন শিল্প হচ্ছে না রঘুনাথপুরে!” তাঁর সংযোজন, ‘‘সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ি কারখানা আশি শতাংশ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই কারখানা ডিনামাইট দিয়ে ভেঙে রাজ্যের শিল্প-সম্ভাবনাকেই নষ্ট করেছে তৃণমূলের সরকার।”
রাজ্যে শিল্প না-থাকায় জেলার পঞ্চাশ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন্ রাজ্যে কাজে যেতে হচ্ছে বলেও দাবি যুব নেত্রীর। তাঁর অভিযোগ, ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের। কিন্তু রাজ্য ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। অথচ বিষ মদ খেয়ে মৃত্যু হলে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় সরকার। জবকার্ড বাতিল প্রসঙ্গে মীনাক্ষীর দাবি, “কোনও সমীক্ষা না করে জব কার্ড বাতিল করা হয়েছে। ইনসাফ যাত্রায় বেরিয়েছি পুরুলিয়ার বর্তমান ছবি ও ভবিষ্যৎকে পাল্টানোর লক্ষ্য নিয়ে।” পরে, পুরুলিয়া শহরের সভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম করেই চাকরি বিক্রির অভিযোগ করেন তিনি। একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘উনি (মীনাক্ষী) জানেন না, রঘুনাথপুরে জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে কম-বেশি আট হাজার কোটি টাকা ইস্পাত ও সিমেন্ট কারখানা গড়তে বিনিয়োগ করেছে তিনটি সংস্থা। আরও কিছু সংস্থা রঘুনাথপুরে তাদের প্রকল্প গড়তে চেয়ে জমি চেয়েছে।” বিজেপির দাবি, শিল্পায়ন করে মূলত রাজ্য সরকার। তবে তাদের চেষ্টায় রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায় গড়তে বারো হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ডিভিসি।
তদন্তে পুলিশ
বান্দোয়ান: ফুলকপি নষ্টের অভিযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করল পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে বান্দোয়ানের রোলাডি গ্রামের বাসিন্দা পবন সিং সর্দারের দু’বিঘা জমির ফুলকপি নষ্টের অভিযোগ ওঠে। বুধবার প্রথমে বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসন ও পরে বান্দোয়ান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পবন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।