দাগ: লাইনে রক্ত। নিজস্ব চিত্র
ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। যন্ত্রণায় ছটফট করছেন স্ত্রী। আর তার পরে পরেই বাড়ির কাছের রেললাইন থেকে উদ্ধার হল স্বামী শ্যামচরণ বাউরির (২৮) দেহ। সোমবার দুপুর একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বড়কালীতলা পাড়ায়। স্ত্রী রিনা বাউড়িকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে মারার চেষ্টা করে আত্মঘাতী হয়েছেন শ্যামচরণ।
রিনার পিসি পূজা বাউরি জানান, দুপুর একটা নাগাদ বিকট চিৎকার শুনে তাঁরা অনেকে ছুটে আসেন। দেখেন ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। শ্যামচরণ কোথায় গেল, কেউ বোঝার আগেই খবর আসে সাঁইথিয়ার বাইপাস রেললাইনে তাঁর দেহ পড়ে থাকার খবর আসে। স্থানীয় সূত্রের খবর, শ্যামচরণের বাড়ি সাঁইথিয়ার আট নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লিতে। বারো থেকে তেরো বছর আগে তিন নম্বর ওয়ার্ডের বড়কালীতলা পাড়ার রিনাদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় শ্যামচরণের। দম্পতির বছর দশেকের এক মেয়ে আছে। নাম সুস্মিতা বাউরি।
পরিবার সূত্রের খবর, নেশা করা, অনটন ইত্যাদি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হত। প্রতিবেশীরাও একই কথা জানিয়েছেন। তার জেরে মেয়েকে নিয়ে দিন সাতেক আগে বাপের বাড়ি চলে আসেন রিনা। সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ শ্যামচরণ স্ত্রী, মেয়েকে নিতে শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়ি ফেরার প্রসঙ্গ উঠতে ফের ঝগড়া শুরু হয়। রিনার পরিজনেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তার পরেই এই ঘটনা।
আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপীনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যত দূর জানি পারিবারিক অশান্তির কারণেই এমন ঘটনা। ওঁদের সংসারে অভাব, অনটনও ছিল। আমরাও দু’তিন বার দু’পক্ষকেই নিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু, কিছুতেই কিছু যে হয়নি, এ দিনের ঘটনাই তার প্রমাণ।’’