Suri

পথে নাটক করে বার্তা ছাত্রীদের

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুটি পথনাটিকা হয়েছে। একটি হল ‘কন্যারত্ন’ এবং অন্যটি ‘ডেঞ্জারাস মেয়ে’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:১৮
Share:

সচেতনতায়: নাটক করছে ছাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র

‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে নাটকের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা দিল ছাত্রীরা। শুক্রবার এমনই চিত্র দেখা গেল সিউড়ির চার নম্বর ওয়ার্ডে।

Advertisement

‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। তাঁদের সচেতন করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে জেলা প্রশাসন। এলাকায় মাইকিং করা, কোন এলাকায় কবে ওই কর্মসূচি হবে সেই নিয়ে যেমন প্রচার হচ্ছে, তেমনই বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা নিয়ে পথসভা বা পথ নাটিকা করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। তারই অঙ্গ হিসাবে এ দিন ওই নাটক হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুটি পথনাটিকা হয়েছে। একটি হল ‘কন্যারত্ন’ এবং অন্যটি ‘ডেঞ্জারাস মেয়ে’। ‘কন্যারত্ন’ নাটকটিতে অভিনয় করে সিউড়ির আরটি গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক জন ও একাদশ শ্রেণির পাঁচ ছাত্রি। অপরদিকে ‘ডেঞ্জারাস মেয়ে’ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ওহিবা খাতুন নামে কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তন ছাত্রী। তিনি এখন আইন নিয়ে পড়াশুনা করছেন।

Advertisement

নাটক দু’টি লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক কল্যাণ ভট্টাচার্য। কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘দুটি নাটকের উদ্দেশ্য হল ছাত্রীদের থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির মেয়েদের সচেতন করা। তাছাড়া নারীদের স্বনির্ভর করতে সরকার কী কী সহায়তা করছে সেই সম্পর্কেও সচেতন করা।’’

‘কন্যারত্ন’ নাটিকায় দেখান হয়েছে একটি মেয়ে, যার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল না। কিন্তু সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় সে স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে। তারপর স্নাতক স্তর পড়াশোনা করে মাস্টার ডিগ্রি করে। তারপর সরকারি সহায়তায় তার পরিবার যে বিয়ে দিতে সক্ষম হয় সেটা দেখানো হয়েছে। ‘ডেঞ্জারাস মেয়ে’ নাটকে একটি মেয়ে কীভাবে প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে নিজের বিয়ে নিজে রুখে পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছে। তারপর পড়াশোনা শেষ করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে সেই কথা বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের প্রচার করা এবং বাল্যবিবাহকে রোখার জন্য এই পরিকল্পনা ভাবা হয়েছে। মূলত সরকারি প্রকল্পগুলির সুযোগ সুবিধা নিয়ে মেয়েরা কীভাবে স্বনির্ভর হতে পারে সেটার প্রচার করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এটা জেলায় প্রথম হল। পরবর্তীকালে জেলার বিভিন্ন ব্লকে এটা হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এখানে যে সমস্ত মেয়ে নিজের বিয়ে নিজে রুখছে বা প্রতিকূলতা কাটিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইছে তাঁরাও নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement