শুশ্রষা: বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রঞ্জিত বিশ্বাস। শুক্রবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
রোগীদের লাইনে বচসার জেরে আক্রান্ত হলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকই। শুক্রবার সকালে পাড়ুইয়ের সাত্তোর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা। রঞ্জিত বিশ্বাস নামে ওই চিকিৎসককে রোগীদের আত্মীয়দের একাংশ বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। আহত চিকিৎসককে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। পরে রঞ্জিতবাবু গোটা ঘটনা জানিয়ে বোলপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত আহত চিকিৎসক বদলির আবেদনও করেছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
এ দিন বোলপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের শয্যায় শুয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন আহত চিকিৎসক। সকাল থেকেই সাত্তোর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগে রোগী দেখছিলেন রঞ্জিতবাবু। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টারে থেকেই তিনি বছর ধরে চিকিৎসা পরিষেরা দিচ্ছেন। চিকিৎসক দাবি করেন, “রোগী দেখার সময় পুরুষ-মহিলা আলাদা লাইন ছিল। সেই লাইন থেকে এক ব্যক্তি তাঁর আত্মীয় মহিলা রোগীকে আগে দেখে দেওয়া কথা বলে জোর করতে থাকেন। অন্য রোগী ও তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির এই নিয়ে বচসা বাধে। এর পরেই আমার উপরে হঠাৎ চড়াও হন কয়েক জন রোগীর আত্মীয়। তাঁরা চড়, ঘুসি মারতে থাকেন।’’ কোন ‘অপরাধে’ তিনি আক্রান্ত হলেন, তা এখনও বুঝতে পারেননি বলে জানালেন রঞ্জিতবাবু। তবে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য রোগীরা দেরিতে দেখার অভিযোগ তুলে রঞ্জিতবাবুকে মারধর করেন। মাথায়, হাতে চোট পাওয়া ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন সহকর্মী চিকিৎসক দেবজ্যোতি মণ্ডল।
রঞ্জিতবাবুর কথায়, ‘‘সাত্তোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করার মানসিকতা আর নেই। আমি আতঙ্কিত।’’ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী রায় বলেন, “ওই চিকিৎসক আতঙ্কে রয়েছেন। একটু সুস্থ হয়ে উঠলে আমরা পুলিশকে জানাব।’’