ঝাড়খণ্ড থেকে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন রানি মুর্মু। ছবি: প্রতীকী
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তরুণী। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছিল। দ্রুত রক্ত না দিলে খারাপ কিছু ঘটতে পারত। এই অবস্থায় এগিয়ে এলেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক এবং এক স্বাস্থ্যকর্মী। রক্ত দিয়ে ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচালেন তাঁরা। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা।
ঝাড়খণ্ড থেকে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন রানি মুর্মু। মেনরেজিয়া (মেনস্ট্রুয়াল ব্লিডিং) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ১.৫-এ। মহিলাদের রক্তে যা থাকে ১২ থেকে ১৬ জি/ডিএল। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তরুণীর। তাঁকে দ্রুত রক্ত দেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক রাজর্ষি চৌধুরী, মেডিক্যাল টেকনোলজির পড়ুয়া দেবলীনা মণ্ডল।
রক্তদানের পর আগের থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন রানি। এই প্রসঙ্গে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, ‘‘আমরা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা একটা দল হিসাবে কাজ করি। সকলেই মমতায় মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। এক জন চিকিৎসক এবং এক জন ছাত্রী দেখাল দয়া, মায়া, মমতা আমাদেরও কম নয়। দরকারে রক্ত দিয়েও বাঁচাতে পারি।’’