—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অযোধ্যায় সোমবার রামমন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া শহরেও কার্যত উৎসবের আমেজ। কোথাও আকাশছোঁয়া রামের কাটআউটে এলাকা ছয়লাপ, তো কোথাও মঙ্গলঘট নিয়ে মিছিলের প্রস্তুতি চলছে। বিশেষ পুজোর আয়োজন করেছে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সেখানে সক্রিয় ভাবে যুক্ত থাকবেন বিজেপির জনপ্রতিনিধি থেকে নেতারা।
পাশাপাশি, দলের নির্দেশে সম্প্রীতির বার্তা দিতে ‘সংহতি মিছিলের’ আয়োজন ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে তৃণমূলে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের মিছিলে কেমন সাড়া ফেলে, সে দিকে নজর রাখছে রাজনৈতিক মহলও। তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “দলীয় কর্মসূচি হলেও একে রাজনীতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দিতে সমস্ত স্তরের মানুষকে নিয়ে পথে নামতে চলেছি।”
দল সূত্রে খবর, বাঁকুড়া শহর-সহ সংলগ্ন বাঁকুড়া ১ ও বাঁকুড়া ২ ব্লকের তৃণমূলকর্মীরা সংহতি মিছিলে যোগ দিতে চলেছেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন-সহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষজনও তাতে যোগ দেবেন। বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট থেকে শুরু হয়ে মাচানতলা ঘুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলে শেষ হওয়ার কথা সংহতি মিছিলের। পথে পড়বে রামমন্দির, মসজিদ ও চার্চ। অরূপ বলেন, “সমস্ত ধর্মীয় স্থানকে সম্মান জানাব আমরা। কয়েক হাজার মানুষ মিছিলে হাঁটবেন। মিছিল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হবে।” তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তরফে ব্লকে ব্লকেও মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রতি ব্লকেই সংহতি মিছিল হবে। ব্লক সভাপতিরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। নিজে কয়েকটি ব্লকের মিছিলে যোগ দেব।”
বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বাঁকুড়া, খাতড়া-সহ জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের মিছিল ও পুজোয় যোগ দেবেন বলে খবর। জেলার বিজেপি বিধায়কদেরও নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে যোগ দেওয়ার কথা। সুনীলরুদ্র বলেন, “দলীয় ভাবে আমাদের কোনও কর্মসূচি নেই। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমরা যোগ দেব।”
পুরুলিয়ার ২০টি ব্লক এবং তিনটি পুরএলাকাতেও সংহতি মিছিলের আয়োজন করেছে তৃণমুল। মিছিলের নাম রাখা হয়েছে, ‘সংহতি যাত্রা’। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া জানান, জেলার সমস্ত ব্লক সদর ও পুরএলাকায় সংহতি যাত্রায় শামিল হবেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও পদযাত্রায় যোগ দেবেন। তাঁর কথায়, “বিবিধের মাঝে মিলনের যে শিক্ষা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি, সেই বার্তাই সংহতি যাত্রায় তুলে ধরা হবে।” তাঁর সংযোজন, “এ দিন অন্য কেউ কোনও কর্মসূচি করলে তৃণমূল বাধা দেবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ সব ভিত্তিহীন।”