ছাতা মাথায় পুরুলিয়ার জেলাশাসকের অফিসের বাইরে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা।
বৃষ্টি মাথায় দলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পথে নামলেন সিপিএম কর্মীরা। বেকারদের নিয়োগ, স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগ, রঘুনাথপুরের শিল্পায়ন-সহ জেলায় থমকে থাকা নানা প্রকল্পের কাজ চালু করার দাবিতে সোমবার সিপিএমের ওই কর্মসূচি ছিল। এ দিকে, সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। বেলা যত গড়িয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তারই মধ্যে দলের কর্মীরা বিভিন্ন ব্লক থেকে শহরে এসেছিলেন। জুবিলি ময়দান থেকে ছাতা মাথায় মিছিল এগিয়েছে।
সিপিএমের দাবি, এ দিনের কর্মসূচিতে প্রায় হাজার ছয়েক মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশের হিসাবে অবশ্য সংখ্যাটা হাজার দেড়েক। সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, ‘‘দিনে দিনে বেকারত্ব বাড়ছে। অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হচ্ছে। আমরা এ দিন প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, এটা বন্ধ করতে হবে।’’ তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে। শূন্যপদ রয়েছে স্কুলেও। কলেজগুলিতেও তা-ই। সেগুলিতে অবিলম্বে নিয়োগের দাবি উঠেছে।
প্রদীপবাবুর অভিযোগ, ঝালদাকে মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও পরিকাঠামো গড়ার কাজ থমকে রয়েছে। একটি ছাত্রাবাসে চলছে মহকুমাশাসকের অফিস। জেলায় একাধিক ব্লকে মাটির নীচ দিয়ে গ্যাসের পাইপলাইন পাতার কাজ চলছে। সে জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এর ফলে চাষে কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি করলেও কুয়ো খোঁড়ার মতো কিছু ব্যাপারে মুশকিলে পড়বেন চাষিরা। জাইকা প্রকল্পের কাজ ঢিমে তালে চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
এ দিন শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে একটি সভাও করে সিপিএম। প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া বলেন, ‘‘আমাদের সময়ে রঘুনাথপুরে তিনটি ইস্পাত কারখানা খোলার কথা হয়েছিল। সেটা হলে কয়েক হাজার বেকারের চাকরি হত। কিন্তু এখন শুধু হাবের বোর্ড টাঙানো রয়েছে।’’ সভার মঞ্চ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র সভায় বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘কৃষকের দরদ যে সরকার বোঝে না, তার বিরুদ্ধে মানুষ রায় দিয়েছেন।’’ কর্মসূচিতে ভিড় হাসি ফুটিয়েছে বাম নেতৃত্বের মুখে। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘আবহাওয়া ভাল থাকলে ভিড় আরও হত।’’