Minor Pregnancy

নাবালিকা মা হয়েছে কি, খোঁজে প্রশাসন

জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিংহ বলেন, “জেলায় নাবালিকা বিয়ে এবং অকাল মাতৃ্ত্বের (কম বয়সে মা হওয়া) সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বেশি। নানা ভাবে সেটা রোখার চেষ্টা হচ্ছে। নাবালিকা মায়ের খোঁজ নেওয়া তারই অঙ্গ।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

প্রসবের পরে সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে কোনও সদ্যোজাতকে মা ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন কি না, তা নিয়মিত খোঁজ রাখে শিশু সুরক্ষা দফতর। এ বার থেকে ১৮-র নীচে মা কেউ হয়েছে কি না, হলে সেই নাবালিকা কোন এলাকার, সেই খোঁজও রাখা শুরু করেছে দফতর। কোন এলাকায় নাবালিকা বিয়ের সংখ্যা বেশি, তার একটি ধারণা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিংহ বলেন, “জেলায় নাবালিকা বিয়ে এবং অকাল মাতৃ্ত্বের (কম বয়সে মা হওয়া) সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বেশি। নানা ভাবে সেটা রোখার চেষ্টা হচ্ছে। নাবালিকা মায়ের খোঁজ নেওয়া তারই অঙ্গ।” জেলা শিশু কল্যাণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে প্রসবের পরে কোনও সদ্যোজাতকে ফেলে দিয়ে গেলে সেটা প্রায় সঙ্গে সঙ্গে জানা যায়। একই তথ্য বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকে (যেখানে প্রসূতি বিভাগ চালু রয়েছে) নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিপোর্ট সংগ্রহ করে দফতর। এ বার জেলায় নাবালিকা বিয়ে এবং অকাল মাতৃত্ব রুখতে মাস দুয়েক ধরে হাসপাতালগুলি থেকে নাবালিকা মায়ের তথ্য সংগ্রহে জোর দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, কোনও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নাবালিকা মায়ের বয়স কত, বাড়ি কোথায় ইত্যাদি জানার পরে সেই এলাকাগুলিকে ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করে প্রচার চালানোর ভাবনা রয়েছে। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক বলেন, “তথ্য পেলে সেই সব এলাকার স্কুলে স্কুলে বাল্যবিবাহ এবং অকাল মাতৃত্ব সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করা হবে। সতর্ক করা হবে, ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের শিশু সুরক্ষা কমিটিকে।”

Advertisement

যদিও বেসরকারি হাসপাতালগুলির একটা অংশ শিশুকল্যাণ দফতরের উদ্যোগে ইতিবাচক সাড়ে দেয়নি বলে অভিযোগ। দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনার বাইরে প্রসূতি বিভাগ (বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ,নার্সিংহোম ও ক্লিনিক মিলিয়ে ) চালু রয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯১টি। নিয়মিত রিপোর্ট মিলছে ৬৪টি থেকে। বাকিরা যাতে নির্ভুল তথ্য দেয়, সে জন্য ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement