তারাপীঠ যাওয়ার পথে চলা অটোও থমকে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউন এবং আনলক পর্বে তারাপীঠ মন্দির দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। দেড় মাস হল মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয়েছে। কিন্তু, এখনও তেমন ভক্তের দেখা নেই। মন্দির কমিটির মতে, ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ার জন্য এই হাল। এই আবহে পূণ্যার্থীদের জন্য হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দু’জোড়া স্পেশ্যাল ট্রেন চালুর জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাল তারাপীঠ সেবায়েত সঙ্ঘ। মঙ্গলবার সংস্থার পক্ষ থেকে হাওড়া ডিআরএম এবং শিয়ালদহ ডিআরএমের কাছে ই-মেল করা হয়।
তারাপীঠ সেবায়েত সঙ্ঘের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় এবং সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় জানান, তারাপীঠ আন্তর্জাতিক তীর্থস্থান। প্রতিদিন কয়েক হাজার পূণ্যার্থীর ভিড় হত। তাঁদের ৮০ শতাংশ কলকাতা, হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে রামপুরহাট এবং তারাপীঠ স্টেশন রোড স্টেশনে নেমে তারাপীঠে আসতেন। করোনা আবহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ার জন্য পূণ্যার্থী সংখ্যা কমেছে। কোষাধ্যক্ষ শ্যামল মুখোপাধ্যায় জানান, ট্রেন না চলায় পর্যটন ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত। ৫০০টির বেশি লজ বন্ধ। কয়েক হাজার মানুষ রুজি হারিয়েছেন।
লজ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সম্পাদক সুনীল গিরি জানান, কম পূণ্যার্থী আসার ফলে তারাপীঠ সহ রামপুরহাট এলাকায় ছোট-বড়, মাঝারি ব্যবসায়ীরা আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত। এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থা ভাঙতে বসেছে। তারাপীঠ সেবায়েত সঙ্ঘের অভিযোগ, পুরী সহ দেশের অন্য তীর্থস্থানে যাতায়াতের জন্য স্পেশ্যাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। তারাপীঠই বাদ পড়েছে। স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেন চালুর করার বিষয়টি শুধু রেলের হাতে নেই। রাজ্য সরকার যদি অনুমতি না দেয় তাহলে লোকাল ট্রেন চলবে কী করে?’’ রেলের খানা জংশন থেকে ঝাড়খণ্ডের গুমানি স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন দেখভালের এরিয়া অফিসার মোহিতকুমার বিশ্বাস বলছেন, ‘‘একটা একটা করে মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হচ্ছে। লোকাল ট্রেন চালু করার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ আসেনি।’’