সিউড়ি ১ ব্লক অফিসে। নিজস্ব চিত্র।
কংক্রিটের পাঁচিল যেন হয়ে উঠেছে ক্যানভাস। শিল্পীর হাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পটচিত্রের নানান দৃশ্য। কোথাও মনসামঙ্গল, কোথাও চণ্ডীমঙ্গল। কোথাও রামায়ণ' তো কোথাও আদিবাসী সংস্কৃতির নানা ছবি। পটচিত্রের মাধ্যমে এমনই নানান ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিউড়ি ১ ব্লক অফিসের নানা জায়গায়। অফিসের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে সীমানা পাঁচিল সব জায়গায়তেই দেখা যাবে এমনই নানান চিত্র।
ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, পট শিল্প বাংলার একটি ক্ষয়িষ্ণু সংস্কৃতি, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আর সেই অর্থে গ্রামেগঞ্জে পটশিল্পীদের দেখাও মেলে না। আগে এক একটি গ্রামে গেলে প্রচুর খাতির পেতেন পট শিল্পীরা। সঙ্গে জুটত চাল, ফলমূল। সম্মান মিলত পটুয়া ঠাকুর হিসাবে। কিন্তু, বর্তমানে আয় ও সম্মান দুই-ই কমে যাওয়ায় অনেকেই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। তাই পট সম্পর্কে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে ব্লক প্রশাসনের এই ভিন্ন পরিকল্পনা।
ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ব্লক অফিসে হল সংশ্লিষ্ট ব্লকের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখানে চাষি, দিনমজুর, চাকুরিজীবী থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে এসে থাকেন। সেক্ষেত্র অফিস প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে অফিস চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় ওই চিত্র চোখে পড়বে সাধারণ মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই পট সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বাড়বে। তাছাড়া ওই অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি তো হয়েছেই। বিডিও (সিউড়ি ১) শিবাশিস সরকার বলছেন, ‘‘সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি মানুষকে এই ক্ষয়িষ্ণু সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যেই আমাদের এই ভাবনা।’’