জেলা হাসপাতাল চত্বর থেকে শনিবার মিলল বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত একটি মৃতদেহ। কেউ দেহটি সনাক্ত করতে না পারায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিউড়ি থানায় খবর দিয়ে অজ্ঞাত মৃতদেহ হিসাবে ময়নাতদন্তের জন্য রাখে। যদিও মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত সিউড়ি হাসপাতালে করা সম্ভব না হওয়ায় রবিবার দেহটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সুপার শোভন দে বলেন, ‘‘দেহটি এতটাই খারাপ অবস্থায় ছিল যে এখানে ময়নাতদন্ত করা যায়নি। অ়জ্ঞাত বলেই ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে।’’
ঘটনা হল, খয়রাশোলের বাবুইজোড় পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রণ কার হতে থাকবে সেই নিয়ে দিন কয়েক বিবাদ চলছিল তৃণমূলের স্থানীয় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে। স্থানীয়দের দাবি, গোষ্ঠী দুটির মধ্যে একটির নেতা মৃণালকান্তি ঘোষ ওরফে কেদার। অন্য দিকে রয়েছেন আব্দুর রহমান। আব্দুরবাবু কিছুদিন সিউড়িতে থাকার জন্য তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ কেদারের হাতেই চলে গিয়েছিল পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রণ। কিছুদিন আগে থেকেই পঞ্চায়েতে দুর্নীতি করছে কেদারের লোকজন, তেমনই ধারনা হয় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে। দিন কয়েক আগে বচসাও হয়। পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়। গতকাল তার জেরে বড় গোলমালের জন্য বোমা বাঁধার কাজ চলছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকালে কদমডাঙা গ্রামে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল, তখনই বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের বলে দাবি এলাকাবাসীর। পুলিশের একটি সূত্রও সেটা মানছে। সিউড়ি হাসপাতালে পড়ে থাকা দেহটি তাদের মধ্যে কারও কিনা তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে খয়রাশোলের বাবুইজোড় অঞ্চলে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, শুধুমাত্র শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। তাই বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ। যদিও প্রকাশ্য পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি। ফোন করলেও ধরেননি বা এসএমএসের উত্তর দেননি জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার।