সপ্তমীর সকালে ছাত্রের হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধার কাঁথিতে

মঙ্গলবার কাঁথির জুনপুট উপকূল থানা এলাকার দৌলতপুর গ্রামের ঘটনা। মৃত অনীশ পাত্র (১২) স্থানীয় চাঁপাতলা হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৬
Share:

মৃত অনীশ পাত্র।

ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল ছেলেটা। আর বাড়ি ফেরেনি। রাতভর খুঁজেও তার হদিস পাননি পরিজনেরা। সপ্তমীর সকালে মিলল তার হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ।

Advertisement

মঙ্গলবার কাঁথির জুনপুট উপকূল থানা এলাকার দৌলতপুর গ্রামের ঘটনা। মৃত অনীশ পাত্র (১২) স্থানীয় চাঁপাতলা হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। দৌলতপুর গ্রামের বাড়ির কাছেই এ দিন তার দেহ মেলে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে কাঁথি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ, অনীশকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ছয় কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

অনীশের বাবা অলোক পাত্রের মুকুন্দপুরে স্টুডিও রয়েছে। সোমবার রাত সওয়া দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ছেলে সেই সন্ধেবেলা ঠাকুর দেখবে বলে বেরিয়েছে। তখনও ফেরেনি। শুরু হয় খোঁজ। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যে ক্লাবের পুজো দেখবে বলে অনীশ বেরিয়েছিল, সেই মণ্ডপে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ছাত্র কিছু সময় সেখানে থাকলেও পরে আর তাকে এলাকায় দেখা যায়নি।

Advertisement

এর পর সারা রাত ধরে অনীশকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে পরিজন ও প্রতিবেশীরা। শেষে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূরের ঝোপের মধ্যে অনীশের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার পরনের টি-শার্ট ছিঁড়েই হাত দু’টি বাঁধা ছিল, কোমরের বেল্ট দিয়ে বাঁধা ছিল দু’টি পা। আর গায়ের স্যান্ডো গেঞ্জি ছিড়ে মুখে গুঁজে দেওয়া হয়েছিল। কী কারণে এত অল্পবয়সী একটি ছেলেকে খুন করা হল, কারাই বা করল তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement