ফাঁকা মাঠে মিলল মা ও মেয়ের দেহ। প্রতীকী ছবি।
ফাঁকা মাঠ থেকে উদ্ধার হল মহিলা এবং তাঁর শিশুকন্যার ক্ষতবিক্ষত দেহ। বুধবার পুরুলিয়ার মফস্সল থানার দুমদুমি গ্রামে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ ওই মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
বুধবার দুমদুমি গ্রামের কাছে একটি নির্জন মাঠ থেকে সরস্বতী মাহালি নামে এক মহিলা (২৩) এবং তাঁর শিশুকন্যার (২) ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পাশেই পড়েছিল একটি ব্যাগ এবং জলের বোতল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা কোথাও রওনা দিয়েছিলেন। সরস্বতী পুরুলিয়া মফস্সল থানার বেলমা গ্রামের বাসিন্দা। কী ভাবে সরস্বতী এবং তাঁর শিশুকন্যার মৃত্যু হল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দুপুর নাগাদ পথচলতি মানুষ দেখতে পান, ফাঁকা মাঠে দু’টি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে। অনেকের অনুমান, ফাঁকা মাঠে গরমে অসুস্থ হয়ে সরস্বতীর এবং তার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু রহস্য দানা বেঁধেছে সরস্বতীর মৃতদেহে কয়েকটি ক্ষতচিহ্ন নিয়ে। কী কারণে তাঁদের মৃত্যু হল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তাঁদের কেউ আক্রমণ করেছিল কি না, তাঁদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তদন্তকারীরা তাকিয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের দিকে।
মৃতার দাদা, হুড়া থানার হিড় কলাবনি গ্রামের বাসিন্দা শক্তিপদ মাহালির অভিযোগ, ‘‘গত সোমবার আমাদের বাড়ি থেকে বোনকে ওর স্বামী বুদ্ধেশ্বর মাহালি নিয়ে গিয়েছিল। তার পর আজ এই ভাবে বোন ও ভাগ্নির দেহ উদ্ধার। আমাদের অনুমান, বুদ্ধেশ্বরই ওদের মেরে ফেলেছে। ওর শাস্তি চাই।’’ পুলিশ বুদ্ধেশ্বরকে আটক করেছে।