স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বাধায় বন্ধ হয়ে গেল একটি কালভার্ট সংস্কারের কাজ। রঘুনাথপুর-চেলিয়ামা রাস্তায় রঘুনাথপুর থানার বান্দা গ্রামের অদূরে ওই কালভার্টটি সংস্কার করছিল পূর্ত দফতর। শুক্রবার সেই কাজে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, নির্মাণে প্রয়োজনীয় বিধি না মানা হচ্ছে না। নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল থাকা রঘুনাথপুর-চেলিয়ামা রাস্তাটি জেলা পরিষদের থেকে নিয়ে সম্প্রতি আমূল সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজে বরাদ্দ হয়েছে সাড়ে বারো কোটি টাকা। দফতরের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার অজয় ভট্টাচার্য জানান, রাস্তা তৈরির খরচের যে হিসাব করা হয়েছিল তার মধ্যে কালভার্টটি সংস্কার করার কথা ছিল না। কিন্তু ওই কালভার্টটি নিচু হওয়ায় বর্ষায় উপর দিয়ে জল বয়ে রাস্তা বেহাল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। পরে অন্য তহবিল থেকে অর্থ জোগাড় করে ওই কালভার্টটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। অজয়বাবু বলেন, ‘‘দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কালভার্ট পরিদর্শন করার পরে জানিয়েছেন নীচের অংশ শক্তপোক্ত আছে। তাই সেই অংশটি রেখে দিয়ে উপরের অংশ ভেঙে আরও উঁচু করা হচ্ছে।”
দফতরের এক কর্তা জানান, রঘুনাথপুর ২ ব্লক সদর চেলিয়ামা থেকে মহকুমা সদর যাওয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের কাজ বর্ষার আগেই শেষ করতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওই কালভার্ট তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা কার্যত অসম্ভব হয়ে প়ড়বে বলে তিনি দাবি করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বুধবার সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে কাজে গাফিলতির বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কাজ না হওয়ায় এ দিন তাঁরা রঘুনাথপুরের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার অজয় ভট্টাচার্যের দ্বারস্থ হয়েছেন। একটি চিঠিতে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বিধি না মানা এবং নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে কালভার্ট ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অজয়বাবু। তবে তিনি বলেন, ‘‘বর্ষার আগেই কাজ শেষ করতে চাইছি আমরা। এই ভাবে কাজ থেমে গেলে তা মুশকিল হয়ে পড়বে।’’