পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক সিপিএম কর্মীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। বাঁকুড়ার রাইপুর থানার গোলোর গ্রামের মোড়ে বুধবার রাতের ঘটনা। রাইপুরের চাকা গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল মাঝি নামে ওই সিপিএম কর্মী রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সিপিএমের অভিযোগ, রাজনৈতিক আক্রোশেই তৃণমূলের লোকজন শ্যামলবাবুর উপরে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। জখম সিপিএম কর্মী স্থানীয় তৃণমূল নেতা পুলক সিংহ-সহ ৮ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই শ্রীদাম বিশুই নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হয়। তৃণমূলের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
খাতড়ার এসডিপিও কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, “ওই গ্রামের এক বাসিন্দাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এক জনকে ধরা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।’’ সিপিএম সূত্রের খবর, বুধবার রাত আটটা নাগাদ বক্সি পার্টি অফিস থেকে দলের লোকাল কমিটির সম্পাদক অশোক ঘোষের সঙ্গে মোটরবাইকে ঝড়িয়া গ্রামে গিয়েছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী বছর পঞ্চাশের শ্যামলবাবু। সেখান থেকে একাই বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় গোলোর গ্রামের বড়তলা পুকুরের কাছে রাস্তায় তাঁকে আটকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় রাস্তায় তিনি পড়ে থাকেন। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
সিপিএমের রাইপুর জোনাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক ধ্রুবলোচন মণ্ডলের অভিযোগ, “ওই এলাকায় আমাদের দলের নিহত নেতা বলাই সেনের স্মরণসভা ছিল বুধবার। সেই স্মরণসভায় শ্যামল মাঝি যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিনের কর্মী শ্যামলের উপরে স্থানীয় তৃণমূলের কয়েক জনের ব্যক্তিগত আক্রোশ ছিল। তার জেরেই বুধবার রাতে পরিকল্পনা করে ওর উপরে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।’’ তিনি জানান, শ্যামলবাবুর মাথায়, হাতে চোট লেগেছে। এ দিন চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে রাইপুর ব্লক তৃণমূল নেতা তথা মেলেড়া পঞ্চায়েত প্রধান রাজকুমার সিংহ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, “যে কোনও ঘটনায় আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করাটা এখন বিরোধীদের রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিপিএম রাজনৈতিক রং লাগানোর উদ্দেশ্যে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়েছে।’’ পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই হামলার পিছনে আগের কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।