ফের এক সিপিএম সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল লাভপুরে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ফল ঘোষণার পরপরই স্থানীয় পুরাতন মহুগ্রামে এক সিপিএম কর্মীর খড়ের পালুইয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার বলরামপুরে আদরি বিবি নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ এক দল দুষ্কৃতী ওই বৃদ্ধার বাড়িতে চড়াও হয়। তারপর তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু দিন আগে ওই বৃদ্ধার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এক ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। আদরির দাবি, ‘‘নির্বাচনের আগে সিপিএমের মিটিং মিছিলে গিয়েছিলাম। তখন থেকেই তৃণমূলের লোকেরা ভোটের পরে দেখে নেবে বলে শাসিয়েছিল। সেই আক্রোশ থেকেই বুধবার রাতে ওরা মারধর করে। সিপিএমের সঙ্গে যেন আর না দেখি এই বলে শাসায়।’’ গ্রামছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সিপিএমের লাঙ্গলহাটা লোকাল কমিটির সম্পাদক নন্দদুলাল সাহার অভিযোগ, ‘‘ফল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকা বিরোধী শূন্য করতে প্রতিটি জায়গায় দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরে একই ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।’’ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তা নীচু তলায় পৌঁছেচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। অনেকে আবার টেনে আনছেন উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে হামলার কথা। ভোট পরবর্তী এই মারধর ও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের লাভপুর ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী। তরুণবাবুর দাবি, ‘‘এলাকায় বিরোধী কোথায়? তাই বিরোধী শূন্য করার অভিযোগ ধোপে টেকে না।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।