Cow Smuggling

অনুব্রতের জেলায় আবার গরু পাচার! ৩৬টি গরু-সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করল রামপুরহাট থানার পুলিশ

গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর থেকে জেলায় বিশেষ নজর রয়েছে প্রশাসনের। এ বার ইলামবাজার যাওয়ার পথে গাড়ি ভর্তি গরু আটকাল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইলামবাজার শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:১৪
Share:

আটক হওয়া গরু। নিজস্ব চিত্র।

আবার অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় গরু পাচারের অভিযোগ। শুক্রবার একটি লরি করে ৩৬টি গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই গাড়িকে থামায় পুলিশ। ঘটনায় আটক হয়েছেন দু’জন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শুক্রবার অভিযান চালিয়েছিল রামপুরহাট থানার পুলিশ। তাতে ৩৬টি গরু-সহ দু’জনকে আটক করে তারা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে একটি লরি এবং একটি পিক-আপ ভ্যান করে গরুগুলিকে রামপুরহাট থেকে ইলামবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে রামপুরহাটের মুনসুবা মোড়ে ওই গাড়ি দু’টিকে আটক করা হয়। গাড়ির চালকরা ওই গরুগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তা ছাড়া তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এর পরই তাঁকে আটক করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু পাচার-কাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে তাঁরা অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রতকে জেরা করার জন্য তাঁর সম্পত্তির উৎস-সহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে অনুব্রতের মেয়ে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে বহু সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যেই তাঁর জেলায় আবার গরু পাচারের অভিযোগ উঠল।

Advertisement

অন্য দিকে, গরু পাচার মামলায় সিবিআই তদন্তের মধ্যে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য সিআইডিও। সম্প্রতি কলকাতার দু’টি অফিসে তল্লাশি চালিয়েছেন সিআইডির আধিকারিকরা। কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে জেএইচএম গ্রুপের অফিসে বুধবার রাতে তল্লাশি হয়। সিআইডি সূত্রের খবর, এই সংস্থাটির মালিক হুমায়ুন কবীর, জাহাঙ্গির আলম এবং মেহদি হাসান। এই তিন জন গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের ভাইপো। আগে তাঁদের চালকলেও হানা দিয়েছিল সিআইডি। বাজেয়াপ্ত হয় বেশ কিছু নথি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement