হাতে হাতে। নিজস্ব চিত্র
পারিবারিক অনুষ্ঠানে অতিথিদের রঙ্গনের চারা দিয়ে বৃক্ষরোপণে উৎসাহ দিলেন কাশীপুরের কল্লোলীর এক দম্পতি। বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে রেহাই পেতে তাঁদের এই উদ্যোগ অনেকেরই নজর কেড়েছে।
বেকো হাই স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক কল্যাণ চৌধুরী ও তাঁর সহধর্মিনী অপর্ণা চৌধুরীর ছেলে অভীকের উপনয়ন উপলক্ষে বুধবার অতিথিদের নিয়ে ছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। খাওয়াদাওয়ার পরে তাঁরা সমস্ত অতিথিদের হাত-ব্যাগে রঙ্গনের চারা তুলে দিয়ে বাড়িতে রোপণ করার অনুরোধ জানালেন। মণ্ডপেও বৃক্ষরোপণ ও গাছ বাঁচানোর বার্তা দেওয়া পোস্টার ছিল।
কল্যাণের কথায়, ‘‘আজ পরিবেশ বিপন্ন। দূষণে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। বিশেষজ্ঞেরা বারবার গাছ বাঁচানোর কথা, পরিবেশ রক্ষার কথা বলছেন। অতিথিদের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণের বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ।’’
এমন উপহারে উচ্ছ্বসিত অতিথিরাও। চারাগাছ পেয়ে খুশি কাশীপুর মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলেজের অধ্যক্ষ বিভাসকান্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশংসনীয় উদ্যোগকে। আমি যত্ন করেই এই চারা বসাবো।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে অনুষ্ঠানে আসা দম্পতি সুদীপ্ত গিরি ও করবী গিরি জানালেন, তাঁরা দু’টি গাছ নিয়েছেন। বাড়ি নিয়ে গিয়ে সেই চারা তাঁরা বসাবেন। মানবাজারের বাসিন্দা অনুপম চট্টোপাধ্যায় ও শ্রাবণীকা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই গাছ আমরা বাঁচাবই।’’
এ দিন প্রায় হাজার খানেক মানুষের হাতে চারাগাছ তুলে দিয়েছেন চৌধুরী দম্পতি। তাঁদের কথায়, ‘‘অর্ধেক গাছও ও যদি বাঁচে, আমাদের স্বপ্ন সার্থক হবে।’’
চারা গাছ ভরে দেওয়া ব্যাগের গায়ে ছাপা অক্ষরে লেখা ছিল—‘বাড়ির ছোট্ট কোণে, স্থান দিও আমায় খুশি মনে’।