অনশন ভাঙার আগে। নিজস্ব চিত্র
তদন্তের আশ্বাস পেয়ে চতুর্থ দিন দুপুরে উঠে গেল অনশন কর্মসূচি। সকলের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে রামপুরহাট পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপি-র রামপুরহাট শহর মণ্ডল কমিটির ডাকে এই অনশন কর্মসূচি চলছিল। তৃণমূল এই আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও বিজেপি-র দাবি, এই আন্দোলন পুরসভার দুর্নীতি জনসমক্ষে এনেছে। তাতে রাজনৈতিক ফায়েদা দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এ দিকে, চার দিন টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি-র দুই কর্মী। তাঁদের শেষমেষ রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দুই কর্মীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে শনিবার রাতে রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল টিম গিয়ে তাঁদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন। তখনই তাঁরা এই দু’জনকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি কর্মীরা নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল। রবিবার সকালে ওই দুই কর্মীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সে খবর পেয়ে রামপুরহাট হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণকান্তি কর দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার আর্জি জানান।
অনশনকারীদের সঙ্গে এ দিন দেখা করতে আসেন দুই ডেপুটি ম্যজিস্টেট। রামপুরহাট থানার আইসি স্বপন ভৌমিকও অনশন মঞ্চে পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির হয়। অনশন তোলা নিয়ে ডেপুটি ম্যজিস্টেট তপন ঘোষালের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। তারই মধ্যে উপস্থিত হন বিজেপি-র জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল মণ্ডল এবং অন্য জেলা নেতৃত্ব। আসেন বিজেপি-র বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। রামকৃষ্ণবাবু অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলে মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাসের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। শেষমেষ মহকুমাশাসক দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি।