Dangerous buildings

বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করল পুরসভা

দিন সাতেক আগে সিউড়ির টিনবাজার এলাকার একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ির কার্নিশ ভেঙে বছর ১৪ এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে  পুরসভার ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে।

Advertisement

শুভদীপ পাল 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৩৪
Share:

বিপজ্জনক। ফাইল চিত্র।

শহরের বিপজ্জনক ১৮টি বাড়িকে চিহ্নিত করল পুরসভা। তার মধ্যে দু’টি বাড়ির মালিক ইতিমধ্যেই বাড়ি ভাঙার জন্য পুরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আগামী দু’দিনের মধ্যে বাকি বাড়ির মালিকদের নোটিস পাঠাবে পুরসভা। তারপরেও বাড়ির মালিকদের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে মত পুর কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

দিন সাতেক আগে সিউড়ির টিনবাজার এলাকার একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ির কার্নিশ ভেঙে বছর ১৪ এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে পুরসভার ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। তার পরেই নড়েচড়ে বসে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পরেই পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলির তালিকা তৈরি করতে সমীক্ষা শুরু করা হয়। সাতদিনের মধ্যে সেই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল।

পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ইঞ্জিনিয়াররা প্রতিটি এলাকায় ভগ্নপ্রায় বাড়িগুলির কী অবস্থা, কতটা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ করছেন। কিন্তু এখনও কোনও রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি। দু’দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট হাতে পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রশাসক বোর্ডের সদস্য কাজি ফরজুদ্দিন। তারপরেই বাড়িগুলিকে নোটিস পাঠানো হবে। তাঁর কথায়, ‘‘সিউড়ি পুর এলাকার ৭, ১১, ১৩, ১৫ সহ একাধিক ওয়ার্ডে ওই ভগ্নপ্রায় বাড়িগুলি রয়েছে। যেগুলি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। সেই জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

জীর্ণ বাড়ির ভেঙে পড়ার ঘটনা সিউড়ি শহরে নতুন নয়। তবে সেইসব ক্ষেত্রে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। যেমন, গত বছর সেপ্টেম্বরে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় একটি বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়েছিল। ওই বহুতলের পাশে সুপার মার্কেটেও একটি ভবনের চাঙড় খসে পড়েছিল। গত সোমবার যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তার কিছুটা দূরেই গত বছর অক্টোবরে সিউড়ির বাজারপাড়ায় একটি জীর্ণ দোতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। বাড়ির ভগ্নাবশেষ রাস্তায় ছিটকে এসে পড়ে। সে বার দুপুরের দিকে ঘটনাটি না ঘটে সকালের দিকে ঘটলে সোমবারের মতো প্রাণহানি ঘটতে পারত। কারণ ওই বাড়ি ঘেঁষেই আনাজ নিয়ে বসতেন বিক্রেতারা। কিন্তু তারপরও জীর্ণ ও ভগ্নপ্রায় বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে তেমন কোনও পদক্ষেপ হয়েছে বলে চোখে পড়েনি অভিযোগ শহরবাসীর। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, গত বছরই পুরসভার পক্ষ থেকে বিপজ্জনক বাড়িগুলি চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে তাঁরা সেই কাজ সম্পন্ন করে উঠতে পারেন নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement