Coronavirus Lockdown

পাঁচ হাজারেরও বেশি শ্রমিক ফিরেছেন জেলায়

জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত ৫১০০ জন শ্রমিক জেলায় ফিরেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি ও বোলপুর শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২০ ০৫:৪৮
Share:

গন্তব্যে: খয়রাশোল থেকে ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হচ্ছে শ্রমিক ও তাঁদের পরিজনদের। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত

ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলা থেকে বীরভূমের খয়রাশোলের বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করতে আসা পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের সন্তান মিলিয়ে ১২৩ জনকে ফেরানো হল রবিবার। শান্তিনিকেতন থেকেও এক পরিযায়ী শ্রমিককে এ দিন মুর্শিদাবাদে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত ৫১০০ জন শ্রমিক জেলায় ফিরেছেন। এবং ৭২০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক, যাঁরা জেলায় আটকে ছিলেন তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শনি ও রবিবারের রিপোর্ট এখনও আপডেট করা হয়নি। তবে দুটি ক্ষেত্রেই সংখ্যা বেড়েছে। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলছেন, ‘‘কে আসছেন, কে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের হিসেব নথিবদ্ধ হচ্ছে। পুরো বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’’

গোড্ডায় ফেরানোর আগে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচড়া লেভেল ক্রসিং-এর কাছে থাকা একটি বেসরকারি (বিএড) কলেজের সামনে প্রত্যেককে হাজির করানো হয়েছিল। নাকড়াকোন্দা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।

Advertisement

করোনার কোনও উপসর্গ নেই দেখার পরেই বাড়িতে ফিরে গিয়ে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়ে, অপেক্ষমান তিনটি সরকারি বাসে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের। প্রত্যেকের হাতে পানীয় জলের বোতল ও বিস্কুটের প্যাকেট তুলে দেয় পুলিশ।

শুধু খয়রাশোল নয় গত ৪ মে থেকে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় আটকে থাকা ভিন্ রাজ্যের (মূলত ঝাড়খণ্ড ও বিহার) পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো হয়েছে, হচ্ছে। ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। একই ভাবে ভিন্ রাজ্য ও ভিন্ জেলায় আটকে থাকা জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা দলে দলে ফিরতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ বীরভূম জেলাকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন। পুরো বিষয়টিকে সুষ্ঠু ভাবে সমাধান করতে সামনে সারিতে রয়েছে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার জন্য ‘মাইগ্রেন্ট লেবার মুভমেন্ট’ নামে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

শান্তিনিকেতন এলাকা থেকে এ দিন চার যুবককে উদ্ধার করে এক জনকে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। বাকি তিন জনকে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চার জন যুবকের মধ্যে তিন জন ঝাড়খণ্ডের। এক জন মুর্শিদাবাদের। পুলিশ জেনেছে, ওই চার যুবক মাস তিনেক আগে কাজে ঔরঙ্গাবাদ গিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকে কখনও সড়কপথে, কখনও গাড়িতে, কখনও হেঁটে রবিবার শান্তিনিকেতনে এসে পৌঁছন। শান্তিনিকেতন পুলিশ তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement