Coronavirus

কারখানায় নজরদারি

বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ শনিবার বলেন, “জেলার কারখানাগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। কারখানাগুলির জরুরি বিষয়গুলির ছাড়পত্র রয়েছে কি না বা নবীকরণ করা হয়েছে কি না, আমরা দেখছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০৪:২২
Share:

প্রতীকী ছবি

বিশাখাপত্তনমের গ্যাস লিকের ঘটনার পরে, বাঁকুড়া জেলার কারখানাগুলির অবস্থার উপরে জেলা প্রশাসনকে নজর রাখতে নির্দেশ দিল রাজ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতর। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বিশেষ করে জেলার কেমিক্যাল, পেট্রোলিয়াম, গ্যাসের পাইপলাইনগুলির অবস্থা ও খনিগুলির উপরে নজর রাখতে হবে।

Advertisement

বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ শনিবার বলেন, “জেলার কারখানাগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। কারখানাগুলির জরুরি বিষয়গুলির ছাড়পত্র রয়েছে কি না বা নবীকরণ করা হয়েছে কি না, আমরা দেখছি। রাজ্যের নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে জেলায় কোথাও রাসায়নিক পরিবহণ করা হচ্ছে কি না বা মজুত করা আছে কি না, তা-ও খোঁজ নিচ্ছি।”

জেলা বণিকসভা সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার বড়জোড়া-মেজিয়া শিল্পাঞ্চলে প্রায় ৬০টি কারখানা রয়েছে। জেলায় কেমিক্যাল, পেট্রোলিয়াম বা গ্যাস উৎপাদনকারী কারখানা নেই। তবে বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে দু’টি এবং মেজিয়ায় একটি কয়লা খনি রয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, খনিগুলি ‘লকডাউন’-এর মধ্যেও সচল। তাই সেখানে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলেছে। তবে ‘লকডাউন’-এ টানা বন্ধ থাকা জেলার অন্য কারখানাগুলির কী অবস্থা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। জেলার বিভিন্ন কারখানায় বয়লার ফেটে শ্রমিকের মৃত্যু বা জখম হওয়ার ঘটনা অতীতে ঘটেছে। বর্তমানে দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় বয়লার ও ইলেকট্রিক প্যানেলগুলির পরিস্থিতি নিয়ে বন্ধ কারখানার মালিকদের বড় অংশের আশঙ্কা রয়েছে।

‘বাঁকুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর (শিল্প) যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর সরকার বলেন, “কারখানা বন্ধ থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালানো একান্ত জরুরি। সেটা ‘লকডাউন’-এ হচ্ছে না। তাই কারখানাগুলির যন্ত্রপাতি শুরুতে কেমন কাজ করে, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছি।”

ঘটনা হল, দ্বিতীয় দফার ‘লকডাউন’ শেষ হওয়ার পরে কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে বাঁকুড়ার কারখানাগুলিকে চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও তারপরে হাতেগোনা কয়েকটি কারখানাই কেবল চালু হয়েছে। এই ঘটনার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশকে বিঁধছেন প্রবীরবাবু।

তাঁর অভিযোগ, “সরকার কারখানা খোলার অনুমতি দিলেও, দুর্গাপুর পার হয়ে সংস্থার পদস্থ আধিকারিক ও মালিকদের বড়জোড়ায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ফলে, কর্মীরা এলেও কাজ করা যায়নি। সমস্যাটি জেলাশাসককে জানিয়েছিলাম। কিন্তু সমাধান হয়নি।’’

তাঁর মতে, কারখানাগুলি চালু হলে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজে গতি আসবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে। তবে জেলাশাসকের দাবি, “কারখানার পদস্থ কর্মী বা মালিকদের জেলায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ শিল্পমহলের তরফে পাইনি। পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement